Sunday, February 25, 2018

ব্যথার নীল প্রচ্ছদে নন্দিনী




রাত্রির কোলে ঢলে পড়া শব্দরা কি কবিতা?
অশরীরী সব ছন্দরা সমবেত কোরাসে তুলছে যে সুর
মহাকাল তারে দেবে কি আজ সুরের অলংকার, প্রেমতানে?
থেমে থাকা দেয়াল ঘড়ি প্রতীক্ষারত- চেনা কোনো কণ্ঠের
ছন্দ নিয়ে আবার দক্ষিণে ঘুরবে বলে, স্থবিরতা ভুলে।
প্রেমিকের ব্যক্তিত্বে গাম্ভীর্য গাঢ় হয় নিয়ত বিরহের প্রলেপে
প্রতীক্ষার অস্থিরতায় ভোর কি তবে বিলম্বিত!
ভোরের আলোয় ভর করে নেমে আসে আলোকদীপ্তি
গত রাত্তিরে ফেলে আসা অন্ধকারের ছোপছোপ দানা
উবে গিয়েছে প্রভাতী উতসরণে, বিস্তৃত আলোকময়তায়। 
তবু এক আলোহীন সকাল গ্রাস করে প্রেমিকের সত্ত্বা
বালিয়াড়ি মেঘ জাপটে ধরেছে কিশোরী ভোরের কোমল শরীর ।
যাতনারা বোঝে না উম্মাদ কবি অসহ্য দগ্ধ দুপুরেও
তোমার ক্ষণকাল চুমুর উষ্ণতায় ঝলসে যেতে রাজি।
বেহিসেবি সময়ও আক্রোশে কৃপণ শৃঙ্খলাচক্রে আবদ্ধ রাখে 
তোমার সংস্পর্শের উদারতা। এরপর একাকী নেমে পরা
কবিতার বুকে। শব্দের আবাদে দুঃখকে জীবন্ত করা।
ভোর তো এসেছিলো, রঙ্গন কুটিরে এসেছিলো চুমুর স্বাধীনতাও।
তবু সব প্রেমিক পত্রী বাবুর কথোপকথনের শুভঙ্কর হয় না,
কাগজের নন্দিনীরা উম্মাদ কবির প্রেমাভিলাষে পূর্ন হয়।
রক্ত মাংশের নন্দিনীরা উত্তাল প্রেমকেও হয়তো শৃঙ্খল ভাবে।
শূন্যতা বেড়ে ওঠে গুচ্ছ রডডেন্ড্রনের চুড়োয়, বৈশাখী ভিড়ে,
পোড়া সিগারেটের কুণ্ডলিত ধোঁয়ায়, নির্বোধ বিকেলের কফির চুমুকে
পুরনো ক্যালেন্ডারের মলিন পাতায়, স্মৃতিময় ওষ্ঠের ক্ষণকাল স্পর্শে ।
ব্যথার নীল প্রচ্ছদ রঙিন করে কাব্যের পটভূমি।


No comments:

Post a Comment