Tuesday, March 20, 2018

প্রদোষ-চরিত




একদা প্রদোষে প্রতীক্ষিত তুমি একাকী অন্ধকারের নিবিড় আলিঙ্গনে
গত হয়ে গেছে কতনা সমৃদ্ধির বিকেল আর গোধূলির বালিয়াড়ি সুর।
এরপর আবার অন্ধকার নামে, দিগন্তের গ্রীবা বেয়ে নেমে আসে ধীরে
নগ্ন রমণীয় প্রত্যূষগুলো ঢেকে যায় সান্ধ্য আবেশে নীরবতার পর্দায়,
শ্লেষ মাখা কণ্ঠে তোলা সুর- ভ্রমিত সে, প্রতিধ্বনি জাগায় আর্তির
নিথর বিছানায় শীকার তোলো শতাব্দীর জমে থাকা কামোত্তাপে
আমিও যুগপ অঙ্গার হই যাতনার অনিমেষ দহনে রাত্রির কোলে।
অরাতি অন্ধকারে মিত্রতা গড়ি আমরা, অবিচ্ছেদ্য সন্ধি হই যাতনার
গলিত শবে ধরা দেই নৈরাশ্যের অন্তরাত্মায়, তুমিও অনন্ত ঘুমে
কামিত উল্লাসের পরে ক্লান্ত কায়ায় কাম জলে কামাত্রান্ত বিছানায়।
আড়ালে কেউ দুঃখ আঁকে, কিংবা রাত্রির স্তব্ধতায় সুর তোলে বিনাশের
রাত্রির শিরদাঁড়ায় অসীম অহম, প্রকট হয় আরো ধ্বংসোসবে
ওঁত পেতে দুঃখ ছড়ায় কোন সে ধ্বংসের ঈশ্বর! এসো বিলীন হই
একদা প্রদোষে, অন্ধকারের অতলে নিমজ্জনের প্রতীক্ষায় থাকি বিভোর।

বেলা



যে বেলা ছিল লাল ইটের রক্তিম বিচ্ছুরণ
ছিল হলুদ বিকেলের তৃপ্ত কোমল রোদ্দুর
এরপর কেটে গেলে বেলা শুষে নিয়ে রঙ
সময়ের ফ্রেমে জমে বিবর্ণ স্মৃতি যদ্দুর
হাওয়াই বিকেল গুলো রঙ নিয়ে ছিল বেশ
সবুজ হৃদয় যেন তুমিময় তানে উদ্ভ্রান্ত
ছবিতে কি জমে ধুলো সময়ের গ্রাসে কভু
আরো নেব, নেব সুখ সময়টা বলে অক্লান্ত।

বহতা

ঘর্মাক্ত রাত্রির বিছানায় এবড়োখেবড়ো কাম উপাখ্যান  
সূক্ষ্ম মশারীর জালে আটকা থাকে অনুমেয় বৈরাগ্য
পতির আলয়ে নীরবে বহে পতিতার দীর্ঘশ্বাস ।
এরপর যমুনায় জমে অতলস্পর্শী জলের সমারোহ
অনিবার্য ক্লান্তি বহতা জীবনের নির্মোহ নৈমিত্তিক
আকাশ ছোঁবে সে তাই ছিল জীবনমুখী আয়োজন
কল্পলোকে অঙ্গার মেখে অট্ট হেসেছিল সময়
তারই সুরে কলতানরত বর্তমান বড় স্বার্থপর।
ব্যর্থ রজনীর সংলাপে তবু বেঁচে থাকার তৃপ্ত সান্ত্বনা
ঠিক ভোর হবে জানি, একরাশ আলোয় এ আলয়।
কে জানে, কোন মায়াবী সৎকারে আবার হব অঙ্গার ?
অনুভূতিগুলোর ম্যান্ডেট বাড়ে সামাজিক জালে।
নিরুপায় তবু শ্বাস বয়ে যায় ক্কোনো অজানা অন্বেষণে  
নশ্বর পৃথিবীর তনুতে জমে যবনিকার অঙ্গীকার।