Thursday, November 15, 2018

স্পর্ধিত বাসনায়


দীর্ঘশ্বাস গুলো উত্তাল সমুদ্রের ঢেউ হয়ে
আছড়ে পড়ে ধাক্কা খায় বুকের ভেতর।
অথচ সে ফিরেও তাকায় নি একবার।
আমি তো তবু যপে যাই তার নাম
অপার এক নৈবেদ্য ভেবে, কামে নিস্কামে।
ভালোবাসার শাব্দিক বোধন অনেক, জানো?
তাড়না , যাতনা, উন্মাদনা কিংবা উৎকণ্ঠা
প্রত্যেকে আলাদা রূপে হৃদয়ে লালিত।
তোমায় খুঁজে নেয় প্রতিক্ষণ স্পর্ধিত বাসনায়।
অথচ কবির উৎকণ্ঠায় প্রেমের ব্যপ্তি অনেক
অভিমান সব পড়ে থাক মৃত জোনাকির আলোর অতলে।
তোমায় ভেবে আমার আরেকটি দিনের  শুরু।
তোমায় নিয়ে লিখবো বলে কলম নিলাম হাতে
রাত্রি সাড়া জাগ্লাম আমি , মিললে সুপ্রভাতে

Tuesday, November 13, 2018

অদ্ভুত আধার এক


মোহনীয় রাত্রী বুকে এক অনুমেয় অন্ধকারের প্রলেপ
যেনো আঁধারের সব রঙ হৃদয়ের আকাঙ্ক্ষায় আঁকা-
অদ্ভুত অন্ধকার এক
রাত্রীর শামিয়ানায় জোনাকী
ভিড় করে আলো আঁধারী কোমল সবুজাভ ছন্দে অধীর

এরপর রাত বাড়লে অবৈধ নেশার মত রক্তে ছড়াও তুমি
প্রাণপনে লড়ে যাই
বিকট অন্ধকার নৈশব্দ প্রেমে কোমল
সময়ের যোনীতে কেবল আদ্র প্রেমের অনর্গল সুখ

কবিতার অক্ষরে অক্ষরে জমা হয়ে কাব্য গড়ছে প্রেমের

আমিও প্রবল ভ্রমে মিশকালো অন্ধকারের স্তনে ডুবে যাই
ছিঃ বলে তুমি দূরে ঠেলো না
আজ রাতের অন্ধকার
বড় কাংখিত
রাত্রীর মশারীতে আমাদেরই প্রেমের জাল
যতই বদল হোক তোমার পরিবর্তিত ধরণীর মত অনিমেষ
আমিও অবুচল রাত্রির হেমে লুফে নেবো তোমার নির্যাস

সান্ত্বনা


স্পর্ধিত বাসনায় কতই না ভেসেছি জীবনের উড়ুক্কু অবাধ্যতায়
কে বলে কেউ নেই আমার! আমার আছে মস্ত একটা "তুমি"
চপল চাঞ্চল্য কবেকার জড়তায় জিয়নকাঠি হয়ে জাগালো

মনে হয় অষ্টপ্রহর আস্টেপৃষ্ঠে ধরে রাখি তোমায় শক্ত করে

অন্য ভুবনে আবাস গড়া তোমার
তাই কবিতার অক্ষরে বাঁধি তোমায়
মাঝে মাঝে দেবী ভেবে স্মরি, কখনো বা কাঙ্ক্ষিত প্রেমের তিলোত্তমা

শেষবারের আগের বার! মনে আছে? রেল ছুটছে
তুমি কামড়ায় চেপে
দূর প্ল্যাটফর্মে আমি সিগারেট হাতে
এক পলক আবার দেখতে চেয়েছ তুমি
সলিলয়েডের পরাবাস্তব আয়নায় মেলে ধরলাম তোমায়, কি যে অভিমান!
এরপর স্বপ্ন সঙ্গমে বিভোর ছিলাম
প্রাণের মাতমে তুমি ছিলে সুখের অন্নপূর্ণা
কখনো তোমায় পাওয়া হলো কি জৈবিক সঙ্গমে? কি জানি!
জানি মধ্যরাতে আজো তোমার বিছানার ভাজে অন্যকোনো রমন গন্ধ

মাঝে মাঝে দহনেও সুখ আসে
প্রিয়জনের নির্ভার ভাবনায় সুখ
প্রিয়মুখের অপরাধবোধ কাটিয়ে তুলে প্রশান্তির লম্বা শ্বাসে সুখ

যদি দীর্ঘশ্বাস জমে তবে তাও সার্থক
অন্ধকারে নামে বালিয়াড়ি রোদ
কোনো এক দূর সময়ের মোহে ঘ্রাণে ছিল যেই চেনা ঘাম, উদ্ভাসিত প্রেমে
সে ঘ্রাণ মরিবেনা কোনো অঘ্রাণে
যেভাবে রেখেছিলে সেভাবেই রবে
দূর থেকে আজো কোনো নিস্তরঙ্গ নৈশব্দ সুর বলে- তুই বড় একা,
জানি সে বড় ভুল, একা নই কভু
কিছু কিছু স্মৃতি আর বিস্মৃত মুখ
জীবনের পূর্ণতা তোমার প্রেমে
সেই স্বাদ অম্লান, নাইবা এলে আগেকার মত
অশরীরী সত্ত্বায় তুমি তো দাঁড়িয়ে আছোই ফেরার ট্রেনের প্ল্যাটফর্মে

সখা বলো তুমি কার


অষ্টাদশে তোমায় দেখেছিলাম রিকশার হুড তুলে
কখনো বা চপল পায়ে উচ্ছ্বাসিত সবুজ পদক্ষেপে
কখনোবা এক রাশ অমলিন সুখ প্রাচুর্য্যের ভিড়ে
কখনোবা তপ্ত দুপুরে এলোচুলের হেলে পড়া ক্লান্তিতে ।
চেনা ক্যাম্পাসের চেনা আঙ্গিনায়, চেনা মুখের ভিড়ে
কখনো আনমনে তাকিয়েছিলে আড়চোখে? কি জানি!
কোনো এক প্রদোষের প্রাক্কালে তোমার প্রাণময় হাসি
কতটা বিধুর আজো চিত্ত মাঝে, একযুগ গেলো পার।
উদাত্ত যৌবনে তুমি স্বপ্ন থেকে বাস্তব হয়েছ অন্য ভুবনে
এই ত্রিশ পেরোনো জীবনে তুমি আজো অষ্টাদশের ভ্রম
জানি আজো অপার প্রেমে শব্দকে করো আলিঙ্গন
বুকের ভেতর থাকা এক গহীন ভুবনে কারো বিচরণ
অথচ দিব্যি সময়ের অনিবার্যতায় থাকো অন্য ধরায়
ভীষণ খরায় কারবালার তৃষ্ণা নেই তোমার স্বাদে।
আক্ষেপ জমে! আওময় আমায় দেয় নি কো কভু
মিলনের অধিকার! তুমি কার হে সখা বলো তুমি কার?