Thursday, December 27, 2018

তৃপ্ত অবগাহন


অবিনাশী বাসনার ভিড়ে জাগে যে প্রেম
ক্রমশ বাড়ন্ত হয় তোমার অম্লান ছোঁয়ায়
অদ্ভুত এক সুঘ্রাণের অপরুপতায় সুনিপুণ
ভালোবাসার এক অলকানন্দার তৃপ্ত অবগাহন ।
অর্ঘ্যসম তনুমন, যপে যাই অপার প্রেমে
কে বলে তুমি মনুষ্য!!

আমার শুধু শূন্য লাগে তোমায় ছাড়া


আমার শুধু শূন্য লাগে তোমায় ছাড়া
প্রাণ খুঁজে পাই উন্মাদনায়
হও যদি গো আমায় নিয়ে আত্মহারা।
আমার শুধু শূন্য লাগে তুই বিহনে
হারাই সুরে দূর অজানায়
থাকিস যদি বুকের মাঝে প্রতি ক্ষণে
আমার শুধু শূন্য লাগে তুই না এলে
দীপ্ত হয়ে তৃপ্ত থাকি
তুইটা নিয়ে আশার প্রদীপ জ্বেলে

তৃষ্ণা আমার

প্রিয়তমা, সহসা প্রভেদ্য বাসনায় বিদ্ধ হও অনর্গল বর্ষাছেদে, বড় তৃষ্ণা আমার। কবেকার মধুমায়া বিছিয়ে দিয়ে আমায় করেছো ওলি। বড্ডবেশী তোমার তোরে কাতর হই।রাত্রির বিদ্গুটে সামিয়ানা আমায় করে নির্লজ্জ। সমাজের চোখে কিংবা রাষ্ট্রের চোখে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ করে বসি। প্রচলিত নিষিদ্ধতা আমায় আপন করেছে তোমার আবির্ভাবে।অজড় মনের সাথে মনের যে আলিঙ্গন লৌকিক সমাজ তার পায়ে বেড়ি বাঁধে কোন স্পর্ধায়! তিতিক্ষায় থাকি বর্ষা হবে তুমি। সিক্ত আবির্ভাবে আমায় করবে পূর্ণ। আবার অবাধ্য প্রেমের উদ্যমে অবসর মিলবে না তোমার। জানি উচ্ছ্বল হেসে আমায় পাগল বলবে। নিভৃতে প্রসারিত করবে বাহুডোর, আমায় নিমজ্জিত করবে প্রেমের অবগাহনে। দূরে তুমি, দূরে আমি। সে তো কেবল দৈর্ঘ্যের গাণিতিক সমারোহে। বিমূর্ত ভাবনায় আমাদের চুমু অনায়াসে রাত্রির বুকে দীপ জ্বেলে শুরু করে প্রেমের যজ্ঞ। তখন কৃষ্ণপক্ষ অভিশপ্ত বসন খুলে ফেলে কবিতার প্রহরে মিশে যায় পরম তৃপ্তিতে। এক একটি নিঃশ্বাস এক একটি নৈঃশব্দ্য ভাষা। তিলোত্তমা পরিচয়ে উঠে আসো ক্ষুধার্ত কর্নিয়ার লেন্সে লেন্সে। অপরূপ আভায় সুঘ্রাণ ছড়িয়ে নিমেষেই মিশে যাও আমার ভাসনার পরে।এর পর কামার্য অভীপ্সায় অপ্রতিরোধ্য হই তোমার আহ্লাদে। মৃদু হেসে অনুভূতির পূর্ণ সুখে স্ফুট বলে ওঠ পাগল প্রেমিক এক। নিংড়ে নেই নির্যাস সব। আরও অঢেল সুখ ছড়িয়ে তুমিও ঢের অফুরান। প্রিয়তমা, এসো গ্লানির অন্তযাত্রায় তৃপ্ত সুখের উদ্ভাসিত হেমে গড়ে তুলি এক মকমলের রাত্রি।

Monday, December 24, 2018

অপরাজিতা



যৌবনা তপ্ত অহ্নের মধ্য ভাগেও আবছায়া অন্ধরারের অনিমেষ মাতম
দর্পে দর্পে অদ্ভুত আঁধার এক কালোর সমারোহে উল্লাস করে নিত্য।
প্রচ্ছন্ন হিমবাহে উষ্ণতার আলতো অভিলাষে প্রতিধ্বনিত হয় নীল বর্ষা
শব্দেরা অনুরাগের জাল বোনে, আড়ালে থাকে নিঃশব্দের প্রেতায়িত স্থিতি।
যুগপ
আবেগের রোমাঞ্চকর বিন্যাসে অন্তহীন আলো আঁধারী উপাখ্যান,
হিমায়িত রাত্রির কাংখিত বাসনায় বিলোনো উত্তাপ কখনো যন্ত্রনারও।
অথচ ভাগ্যের অমোঘ রাত্রির মত শাশ্বত বোধে তোমারই উপস্থিতি-
সেই এক বড় পাওয়া, উচ্চকিত গর্বের অবিরাম ফণা অবদমিত নয়।
চোখ কান নাক কিংবা শরীরী অন্যসব সত্ত্বায় ভিন্নতা কম হয় জানি
হৃদয়ে লালিত পূত ঘ্রাণ ছড়িয়ে যাও ইন্দ্রিয় ছাপিয়ে, অবিচল অনন্যতায়।
শাশ্বত তুমি সীমাহীন রাত্রির মাঝেও বেঁচে থাকার চন্দ্রালু তৃপ্ততা,
তাই শব্দরা থেমে যাক অবিনাশী রাত্রির নৈশব্দের মত, তবু তুমি স্তুতিময়।

Thursday, November 15, 2018

স্পর্ধিত বাসনায়


দীর্ঘশ্বাস গুলো উত্তাল সমুদ্রের ঢেউ হয়ে
আছড়ে পড়ে ধাক্কা খায় বুকের ভেতর।
অথচ সে ফিরেও তাকায় নি একবার।
আমি তো তবু যপে যাই তার নাম
অপার এক নৈবেদ্য ভেবে, কামে নিস্কামে।
ভালোবাসার শাব্দিক বোধন অনেক, জানো?
তাড়না , যাতনা, উন্মাদনা কিংবা উৎকণ্ঠা
প্রত্যেকে আলাদা রূপে হৃদয়ে লালিত।
তোমায় খুঁজে নেয় প্রতিক্ষণ স্পর্ধিত বাসনায়।
অথচ কবির উৎকণ্ঠায় প্রেমের ব্যপ্তি অনেক
অভিমান সব পড়ে থাক মৃত জোনাকির আলোর অতলে।
তোমায় ভেবে আমার আরেকটি দিনের  শুরু।
তোমায় নিয়ে লিখবো বলে কলম নিলাম হাতে
রাত্রি সাড়া জাগ্লাম আমি , মিললে সুপ্রভাতে