Sunday, November 3, 2019

গন্তব্য

মেয়াদোত্তীর্ণ পথ্যের মত আজো সেবন করে যাচ্ছ আমায়
নিদারুণ দ্বিধায়, কখনবা শূন্য গন্তব্যের সীমাহীন দুঃস্বপ্নে
নিত্যদিনের সন্ধ্যার মত গুমোট অন্ধকার নামল অমোঘ
নিতান্তই বিভীষিকার লগ্ন যপে পরিত্রান চাও প্রতিনিয়ত
দীর্ঘশ্বাসগুলো ভারি করতে চাওনা আর তাই এ উপায়
সত্যগুলো অপ্রিয়তাতেও গেঁথে নেই দ্বিধাহীন, মিথ্যের ভার
নেয়ার মত শক্তি এই স্কন্ধে নেই হে প্রিয়, যতিচিহ্ন দাও
গন্তব্য থেকে অনেক দূরে বিপরীতমুখী আমরা পরস্পর
ক্ষান্তি না দিলে ফিরে আসার পথ আরো দীর্ঘ হবে যে!

ভয়


হেয়ালী আচ্ছন্নতায় বিভোর থেকো লগ্নময়
চেহা পরশের মেদুরতায় পূর্ণ হও আদ্যোপান্ত
কবেকার ধুলোমাখা চাওয়াগুলোর ক্লান্ত বসনে
বছরান্তের ঝুল, কিংবা স্যাতস্যাতে ক্লান্তি!
নয়ত ছাদের কার্নিশে জমা নিথর একাকিত্ব
তুমি লক্ষ্য করেছ সবই, যুগান্তরের মোহনায়
সে বোধ অসহ্য তোমার কাছে অথচ অম্লান
সময়ের শেষ পৃষ্ঠায় অন্তরীণ যবনিকার ডাক
পাতা ওল্টাতে তাই নিদারুণ ভয়, জানোইতো
অসহায়ের টুটি চেপে উল্লাস করে লগ্ন-বীর!
কখনো পায়নি কো স্বাদ পক্ষপাতের, অথবা
সত্যের সাথে অবিরত সঙ্গমে সুখের বীজ?
পাণ্ডুলিপিতে শব্দের ডিপোজিট রেকারিং সুদে
কবিতা গড়ে ফেলল অনায়াসে, তোমায় নিয়ে।