নির্ঘুম কত রজনী প্রতীক্ষিত আজ চাতকের মতো
মুক্তির অবগাহনে, তৃষিত বিগহের হতো উদগ্রীব।
ভুলের তিমির অম্বর যেন শৃঙ্খলিত আবাস তার
মুক্তির নিনাদে চপল ছন্দে ভোরের কালো কাক
কুৎসিত সুরেই আহ্বান করুক নতুন দিনের,
ফ্যাঁকাসে ঘাসের সরু কায়ায় গড়ে ওঠা পথের মতই
সম্ভাবনার আগামী তার উপস্থিতি এঁকে যাক।
হয়তো কালের আবর্তে আবার বিষাদের বিষ পেয়ালা
কণ্ঠে ঠাই পায় অনিমেষ শ্লেষ হয়ে। কখনোবা
বাসন্তী উন্মাদনা নিথর ঢের- হতাশার দুর্ভেদ্য কুয়াশায় ।
স্বপ্ন কবেই বিলাস দ্রব্য হয়ে স্থান করে নিয়েছে
সহাস্য অহংবোধে, দূর আকাশের শূন্যতায়, যেন
তার মূল্যস্ফীতি আজ আকাশচুম্বী। স্বপ্নের বাজারে
আজ স্বপ্ন সঙ্কট। সঙ্গীত আছে, চিত্রকলা আছে, কবিতাও
আছে। সব তবু স্বপ্নহীন বয়ে চলে সময়ের গা বেয়ে।
আসুক না তাই সফেদ শঙ্খচিলের শুভ্র
ডানায় ভর করে
একফালি স্বপ্ন, যদি এটাও বিলাসের স্পরধা হয়
তবে না হয় শীতের ঝরা পাতাদের মতই গড়াগড়ি খাক
কিছু স্বপ্ন, নিমজ্জনে যাই আবার রাত্রির কোলে, শৃঙ্খলের
অনিমেষ ভ্রমে, চেয়ে থাকি তাই পাথর চোখে ।
মৈত্রীর অপার আনন্দে চায়ের দকান গুলোতে কিংবা
সস্তা সিগারেটের পোড়া নিকোটিন ও স্বপ্নবান হোক,
মুক্তির উল্লাসে অমর একুশের মূর্তিত্রয় স্তব্ধতা ভেঙ্গে
কবির সরণীর উত্তপ্ত রাস্তায় নেমে পরুক আনন্দ মিছিলে।
কবিতার বরুনারা কিংবা অমল্কান্তি নিজ নিজ প্রচ্ছদে
জীবন্ত হোক আবার প্রাপ্তির তৃপ্ত উৎকণ্ঠায়। আমিও
তখন রুদ্র উত্তাপে শিশিরের মতো বিলীন হতে হতেও
লিখতে থাকবো মুক্তির গান, অভিমান নিমেষেই
হয়ে যাবে প্রাপ্তির উষ্ণ অনুরাগ।
No comments:
Post a Comment