Thursday, February 14, 2019

ভীষণ প্রেমের অম্লানে


তুই যে মম ইচ্ছেঘুড়ির রঙিন ডানার সাতটি রঙ
তুই কবিতার শব্দাবলীর সবকটি বর্ণ সয়ং,
তুই যে আমার সুখের সিন্ধু- উথাল পাথাল বইছে ঢেউ
তুই জীবনের পূর্ণতা মোর অন্তরেতে কইছে কেউ।
রইবি রে তুই চিত্তে সখা ভীষণ প্রেমের অম্লানে
গাইবি রে তুই আমার সুরে কণ্ঠে তোলা সব গানে।
বুক জুড়ে তোর শুধু আমি সেথায় যে মোর ঘর খানা
ডুবব যে আজ তোর গভীরে শুনব না কোনো মানা।

তুমি


অদেখা রাত্রির ধুম্র অন্ধকারে ছায়াহীন রই একাকী
পরম বিস্ময় এক, দিনাবসানে ঘুমঘোর ছিঁড়ে নির্ঘুম
জানি ঠিক খানিক পরেই বসন্তের আলোড়িত কুহক
বিষণ্ণ মন্থরতায় গতি এনে ভোরটা হবে ঈপ্সিত এক।
অস্ফুট এক চুমুর আকুতি দ্বিধা গড়ে সলিলয়েডে
অথচ বাসন্তী ভোরে কিংবা একাকী অন্ধকারের নির্জনে
তোমার লাল ঠোঁট জানি আমার চুমুর প্রতীক্ষায়।
তোমার নিশ্বাসের সজীবতাই আমার চির কাংখিত বসন্ত
তোমার উচ্ছ্বাসিত অনুরাগই আমার আগুন লাগা ফাগুন।
সহসা বিষাদে দগ্ধ হলে বরষাতেও আমার রুদ্র অনল।
প্রতীক্ষিত রাত্রির পর ভোর হলে তোমার কণ্ঠস্বর
অপার সুখের স্নিগ্ধ হেমে ভুলে যাই নিকষ রাত্রির একাকিত্ব।

সমাপ্তি নেই


বড্ড এক অসমাপ্ততায় গল্প জমে অনর্গল
খেয়ালী বোহেমিয়ান ভাবনারা ছুটন্ত সতত
যেন মহাকালের বক্ষ ফুঁড়ে ছিনিয়ে নেয়া তুমি
এরপর গল্প গড়ি প্রেমের, যার সমাপ্তি নেই।
মাঝে মাঝে আকাশটাকেও আবদ্ধ লাগে
তোমার অপারিত প্রসারিত বুকের বিশালতায়
আমার এক অর্বাচীন প্রশান্ত নীলে অবগাহন।
শোভিত ফুলেল বৈকুন্ঠ পাই তোমার আলিঙ্গনে,
হাসছ তুমি? বাড়িয়ে বলছি না এক রত্তি!
ওই গভীর চোখের কালো গভীরতায় খুঁজে পাই
অপার আশ্রয় এক, গ্লানিহীন প্রেমের ইশারা।
এরপর শব্দরা বিন্যস্ত হয় চঞ্চল ভাবনার স্পর্ধায়
বিষন্ন সব রাত্রি মুহুর্তেই ঈপ্সিত প্রেমের মশারী।
তুমিও জীবনানন্দের সুরঞ্জনা বনে যাও তখন।

কখন আসবে তুমি?


নিকষ অন্ধকারের আবর্তিত নিমগ্নতায় দিশেহারা প্রহর
এক একটি সেকেন্ড যেন জড়িয়ে আছে বছরান্তের বেড়ি
প্রতীক্ষা মাঝে মাঝে আর্তির সুখ দেয়, কখনোবা বিষাদ
আলোহীন জানালার ওপাশে ঘুমন্ত রডডেন্ড্রন, সেও একা
ভোরের প্রতীক্ষায় রঙ লুকিয়ে গুমরে কাঁদে অন্ধকারে।
হয়তো ছুটে যাওয়া কোনো নির্জন রাস্তায় বাইকের হর্ন
অথবা বেসিনের সাদা বক্ষে টপটপ জলফোটার ধীরলয়
ক্রমশ স্পষ্ট হয় যাতনার মতই, কখন আসবে তুমি?

Wednesday, February 6, 2019

অচ্ছুৎ প্রেম

একদা অঘ্রাণে কবেকার কবিতার শব্দ ধুলোয় গড়ায়
সময় তো কাটে বেশ, কে বা পায় এতটা! তবু কেন ব্যকুলতা
কিছু প্রেম শব্দ হয়ে লুটায় লোভাতুর ভুলের অপরিণামদর্শিতায়
এরপর বসন্ত এলে সবুজের সমারোহে ভুলে যায় ভুল।
সেই থেকে আবার জন্ম হয় কবির, অংকুরিত শব্দও
ক্ষীণকায় ব্যকুলতায় অর্জুনও কি পারত হতে অকুতোভয় গাণ্ডীবধারী?
আজকের দ্রৌপদী বড্ড বেশী বাস্তব। অগ্নীশ্বর মহিমায় তেজস্বী।
নিদ্রাহীন রাত্রির পরে উঁকি দেয়া ভোর বড় বিভোর?
বিষণ্ণ সংকেতে সাইরেন বাজায় কদাকার বাজখাই সুরে অবিরাম
ভয় কেন? আসবে সে দূরবর্তী পারস্পরিকতার অবসানে
যতটুকু প্রাপ্তি সে বড়ই প্রাচুর্য্য, তা-ই নিয়ে প্রেমের শব্দ অনিমেষ
এখানেই শেষ নয়, ভাবনার গ্রথিত শব্দরা বিবর্ন থাক,
আপাতত কবি ঘুমে যাক, স্বপ্নে তবু এসো অকৃপণ
উচ্চারিত শব্দের বিস্ফোরিত বিশ্বাসে অটুট প্রেমের মতই অম্লান।