Thursday, April 11, 2013

তুমি বিপ্লবী প্রেমের কবিতা

স্নিগ্ধ তব ওই হাসিমুখ
চিত্তহারা প্রানে জমে সুখ
ওড়না ঢাকা বক্ষ তোমার
অবাধ্য হয় দৃষ্টি আমার
বাসনা জড়ানো ওষ্ঠ দেখি
হৃদ কাননে ভালোবাসা আঁকি
উড়ছে মন আজ কোন ব্যকুলে
ওই প্রশস্ত কটির দোলে
কুরুচি বাসনা পায় না কো ঠায়
প্রেম জাগে তব মাধুর্যতায়
অম্লান তুমি তুমি সুস্মিতা
তুমি বিপ্লবী প্রেমের কবিতা

Tuesday, April 2, 2013

মিসেস দে

কবেকার কোন প্রভাতের শারদীয় উদ্ভাসে
শিশির ছোঁয়া আদ্র গোলাপ পাপড়ি,
নগ্ন পায়ের চপল ছন্দে অনুভূতি ছড়িয়ে যায়
কাব্যে কাব্যে, প্রভাতীর স্বপ্নীল আলোয় আঁকা
ভালোবাসার ক্যানভাস, সেই সুস্মিতার হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া হাসি
কড়া নাড়ে চিত্তে কাব্য হয়ে।

অসংখ্য কবিতা,
মনে হয় পৃথিবীর সব ফুলের পাপড়িতে
গেঁথে থাকুক সেই সুস্মিতার হাসি,শারদীয় প্রভাতের রৌদ্রজুড়ে
তার স্পন্দিত উল্লাস জন্ম দিতো সুর, উষ্ণ ঠোঁটের তীব্র যাতনায়
কবি হয়ে যেত বিপ্লবী ,প্রেম আর দ্রোহের ছন্দে।

আজ কোন এক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রেস্তোরাঁয়
শারদীয়  সতেজতা নেই,আছে নিয়ন আলোর আবছা মৌনতা
ব্যস্ত সময়ের অশান্ততায় অবসন্ন মন আজ কবিতা গড়ে না,
আঁকে না কোন সুস্মিতার উন্মুক্ত বক্ষের স্বপ্নাতুর অনুভূতি,

ঘড়ির কাঁটা ঘুরছে ঘুরছে।
পাশের টেবিলে চেনা মুখ, চেনা হাসি, শুধু
অপরিচিত সময়।
উঠে যাওয়ার আগে একটা সম্বধন কানে আসলো-
ধন্যবাদ মিসেস দে, মৃদু হাসলাম।

এগিয়ে চললাম একা। হয়তো একটা হাত সামনে এসেও
আওভান না করে গুঁটিয়ে গেলো,
মিসেস দে বর্তমান হয়ে থাক পৃথিবীর কাছে,
সুস্মিতার স্মৃতি চির অম্লান থাক-
পান্দুলিপির কাব্যে কাব্যে, ডায়েরির  প্রতিটি অক্ষরে।
সময়ের ব্যবধান-
হাহাহা মিসেস দে।











Wednesday, February 13, 2013

বিপ্লবের গান


জেগে ওঠো আজ মানব সমাজ, জেগে ওঠো সব প্রাণ
৭১ এর ঘাতক দালাল হোক তার অবসান।
আজ প্রজন্ম চত্বরে
জেগেছে তরুন কত্তরে-
শত কবিতার শব্দাবলী হয়েছে অঙ্গীকার।
মুক্তির সুর রাঙিয়ে এবার বাজবে এই গীটার।
তুই রাজাকার, তুই রাজাকার।
বাংলা ছাড়। বাংলা ছাড়।
শ্লোগান , গান আর গণসংগীতে
জাগো অপশক্তির বিপরীতে
শত বাঙ্গালীর রক্ত দানে ক্রিত এ স্বাধীনতা
নর পিশাচের ফাঁসির দাবীতে জাগ্রত জনতা।
লাল সবুজের পতাকা আজ চেতনা আমার
রক্ত দিয়ে রাখবো যে মান অর্জিত স্বাধীনতার...
তুই রাজাকার, তুই রাজাকার।
বাংলা ছাড়। বাংলা ছাড়।

Thursday, January 31, 2013

শিরোনামহীন অসমাপ্ততায়


কবির ভাবনায় আবার সংগ্রাম জেগে উঠবে
স্বাধিকারের মিছিলের তীব্র শ্লোগান
আবার সুর তুলবে বিপ্লবের
এমন তো হওয়ার কথা ছিল না।

ভেবেছিলাম একটা মানচিত্র পেলেই মিলবে সব।
আর কোন হরিদাসির সিঁথির
সিঁদুর শুষে নেবেনা কোন হায়নার জিভ...
বিপ্লবের তাজা রক্তে চিকচিক করবে না আর
শহুরে ধুলোময় পিচগলা রাজপথ।

ভেবেছিলাম যদি একটি মানচিত্র মেলে,
তবে প্রিয়ার কণ্ঠে উল্লাসিত হবে প্রেমের
উদাত্ত আহ্বান। অথচ আজো প্রেমিককে
প্রতিনিয়ত শুনে যেতে হয় ধর্ষিতা দয়িতার
বিবস্ত্র দেহে অজস্র দংসনের আর্তচিৎকার।

কবির কলম স্বাধীনতায় নতুন শব্দ বুনবে,
প্রতিটি কবিতার অক্ষর হবে এক একটি স্বপ্ন-দুর্গ
কে জানতো! বৈষম্যময় সমাজের ক্রুদ্ধতায়
কবিতার ছন্দ অনাহারে মুখ থুবড়ে মুমূর্ষু
মূল্যবোধের মতো, স্বার্থের কলুষিত পদতলে।

শিরোনামহীন অসমাপ্ততায় স্থবিরতা জমা পরে
শিল্পের প্রতিটি অঙ্গনে। কালো টাকার মতো
জারজ স্বপ্নহীনতায় চির অধরাই থেকে যায় মুক্তি,
কাব্য থেমে যায় তাই শিরোনামহীন অসমাপ্ততায়।

সময় এখন বায়স্কোপের নয়, বিপ্লবের...

আর কোনো বীভৎস রক্ত চক্ষুর হিংস্র দাপটে
গা বাঁচানো ব্যাক্তিত্বে দৃষ্টি ভূমিতে লুটিয়ে দিয়ে
প্রকাশ করা নয়- আমরা শান্তিকামী।
নির্লজ্জ ভয়ে কুঁচকে যাওয়া প্রানের
সত্যের শক্তিতে জেগে ওঠার অভিপ্রায়ে
 দ্রোহী চেতা হওয়ার সময় এখনই।
আর কোনো বিবর্ণতার ছোবলে রঙিন স্বপ্নের
অবক্ষয় নয়, দূর পাহাড়ের সবুজ কায়ায়
গা মিশিয়ে তারুণ্যের সবুজে উদ্ভাসিত হওয়ার
কাঙ্ক্ষিত সময় কড়া নাড়ছে চিত্তের দ্বারে।

ঘুণে ধরা সমাজের বিপরীতে দাড়িয়ে
 মুক্তির সুর তোলার সময় এখনই।
সময় এখন জাগরণী গানের সুর তুলে
হারমনিকা নিয়ে রাস্তায় নেমে পরা-
উল্লাস করা আনন্দের অনাবিলতায়।
কালো মেঘের ভয়াল গর্জনে ভীত নয়,
ঝড়কে সামলে নেয়ার আত্মপ্রত্যয়ে
দৃঢ়চেতা হওয়ার লগ্ন এখন।
সময় এখন বায়স্কোপের নয়, বিপ্লবের...

Thursday, January 17, 2013

তুমি আমি আর স্বার্থবাদি সময়

কথা ছিল যদি কখনো দুমড়ে যাই
তবে সেটা হবে স্বপ্নিল ভালোবাসার প্রভঞ্জনে।।
যদি হই নির্বাণ , তবে সে তোমার উষ্ণ চুমুর উত্তাপে

কথা ছিল- যদি লিখি গান
তবে তার সুর প্রান পাবে তোমার কণ্ঠ মায়ায়
যদি বিপ্লবের শ্লোগান ধরি সাম্যের উন্মাদনায়,
তবে তুমি হবে মিছিলের সহযাত্রী।
কখনো ভাবিনি আমরা সময়ের হিংস্রতায় বাধা পরবো 
লৌকিক সুখের মোহে।

স্বার্থের লোভাতুর আওভানে
আমরা সবাই আত্মকেন্দ্রিক নিমগ্নতায় নিথর
বিবেক লুণ্ঠিত হয় শোষকের কালো থলেতে।
হেসে যায় অন্ধকার।

প্রেম আর দ্রোহের কবিতাগুলো অবহেলার কুঁচকানো কাগজে
ঠাই পায় আবর্জনার ঝুড়িতে।
তুমি আমি আর স্বার্থবাদি সময়-
আপন খেয়ালে ধরা দেয় দাসত্বে।।


Saturday, January 5, 2013

সীমার ওপাশে

গাঢ় সিগারেটের ধোঁয়া
চারপাশ মৌনতা আর স্থবিরতায় ছয়লাব
প্রাণের উন্মাদনায় বিভোর স্বপ্নগুলো
নিষ্প্রাণের আলিঙ্গনে বাস্তব

স্থির সিলিং ফ্যানের গায়ে
জমে ওঠা ধুলো-
বুকশেলফের বুকে ক্রমশ বেড়ে ওঠা
মাকড়শার ঝুল
মেঝের উপর ছেঁড়া কাগজের স্তুপ
যেথায় সুপ্ত-
হাজার বর্ণের সমন্বয়ে জন্ম নেয়া
ভালোবাসার ছবি- কবিতাবলি।
ম্রিয়মাণ সব

ক্লেদাক্ত পাপস, ছাইয়ে ভরা অ্যাশট্রে
আর
পরাজয়ের বিদগ্ধ কিছু ক্ষতসমেত
একটি হৃদয়
একটি ভুবন।