প্রতিনিয়ত আমরা লখিন্দর হয়ে দংশিত হই দাসত্বের শাপে।
আমাদের চেতনার প্রচ্ছদ জুড়ে গ্লানি আর জড়তার অদৃশ্য অবগুণ্ঠন।
আমাদের স্বপ্ন প্রতারিত হয় মহাকালের চর্চিত ছলে,
নিরবধি বয়ে যায় বর্তমান, দাসত্বকে কাধে নিয়ে অনিশ্চিত আগামিতে।
ক্ষুধার্তের নিত্য হাহাকারে এখানে জমে ওঠে শ্যাম্পেন উৎসব ,
আর্তের বক্ষফাটা ক্রন্দনে এখানে শোষকের উদ্যম নৃত্য।
বঞ্চিতের শতসহস্র হাত বৃথা আস্ফালন করে সাময়িক মুক্তির উচ্চাভিলাষে-
নিমেষেই মুক্তির অপমৃত্যু, শোষকের পদাঘাতে দলিত কৃষ্ণচূড়ার মতো।
আজ শিল্পের বিকাশ থমকে যায় সমাজ সৃষ্ট
পাপের দায়ভারে,
এখানে কবিতা মানে উম্মাদের প্রলাপ, নাস্তিকের কল্পকথন।
এখানে সঙ্গীত মানে অধর্মের অভিশপ্ত আওভান,
স্বপ্নহীন ঘরকুনো দাসত্বের নিবীর্যতাই এখানে চিরায়ত পরিনাম।
আমাদের স্বপ্ন আর আকাঙ্ক্ষা গুলো লুণ্ঠিত হয় স্বার্থের ছকে বাঁধা দাসত্বে।
আর স্বপ্নের পরিধি অগত্যা লীন হয় দুঃস্বপ্নের আগ্রাসী অন্ধকারে,
জাগরণী শত কবিতা জমা পড়ে ধুলোমাখা শেল্ফের মলিন এক কোণে,
অন্ধকারের রাশউৎসবে আকার পায় বিকার গ্রস্থ অপসংস্কৃতি, ছেয়ে যায় তারুন্যে।
No comments:
Post a Comment