Thursday, March 23, 2017

সীমার ওপাশে মেয়ে, তুমি কে?



স্বপ্ন সঙ্গমে আবিষ্ট থেকো ভুবনময়
সীমার ওপাশে তুমি অধরাই রও।
রুদ্ধশ্বাস সব নিমেষে হয়ে যাক প্রাঞ্জল উপাখ্যান
বহুদিনের ক্লান্ত পাখির মত তুষ্ট হও
আপন নীড়ে ফিরে। অমোঘ নিয়তিকে শিরে নিয়ে
আত্ম-অধীনতার স্বাধীনসুখে আর প্রথাগত অনুকূলতায়।
সাজানো নিয়ে বয়ে যাক তব সুখের ফুল্গুধারা,
কিছু কান্না, কিছু শ্লেষ নয়ত কিছু আকুতির
জীবন্ত শব্দাবলী - মুছে যাক উচ্ছ্বাসের ঝড়ঝাপটায় ।
দক্ষিণা সমীর বইবে তোমার ব্যালকোনিতে
উড়বে সময়ের ধুলি, উড়ে যাবে দূরে আরও দূরে
ব্যাথার কবিতার ছিন্ন কাগজগুলো।
শিয়র ছুঁয়ে দিও তৃপ্তির প্রশস্ত বুকে, জানোই তো-
অনুক্ত আবেগের নিভৃতির চেয়ে উন্মুক্ত প্রাত্যহিকতার ব্যঞ্জনা
এই শতকে অধিক গ্রহণযোগ্য ।
তবে কৃষ্ণচূড়ার দিকে তাকিয়ো না আর, তোমার চোখ
সেই লালকে ধারণ করতে পারবে না। এমনই লাল
দেখেছিলে কোনো এক প্রেমিকের বুকে,
সীমায় বাঁধবে সেই ছিল ভয়!তার বুকের লাল গুলো
ক্রমেই ছড়িয়ে গেছে কৃষ্ণচূড়ার গায়ে।
এর চেয়ে ঢের ভালো স্বপ্নসঙ্গমের পরে
কাঙ্খিত রজনীতে প্রেমের দেবী হয়ে আইনি অভিসার।
সীমার ওপাশে সেই প্রেমিকের কান্না নাই বা হোক
আর সঙ্গমের কাতর আবহ। নিয়মের ফেরে প্রেমিক ও
নিজেকে আকাশ ভেবে বুকের রক্তকে আবির করে নেবে।
তোমার ফেলে আশা দীর্ঘশ্বাস গুলো বুকে নিয়ে জমা করবে মেঘ,
মেয়ে, তুমি তৃপ্ত হও আপন নীড়ে, অমোঘ গন্তব্যে।
সীমার ওপাশে, মেয়ে তুমি কে? প্রেমিকই শুধু জানুক।

No comments:

Post a Comment