স্বপ্নময় রাত্রির
পরে শুভ্র সকাল
আর তারপর কোমল রোদ গায়ে মেখে
রৌদ্রস্নান!!
প্রেমিকের কল্পলোক এমনি থাকে তুমিময়।
অথচ বর্তমান থমকে
আছে বিষণ্ণ একাকীত্বে ,
পোড়া রোদের তপ্ত
রাগে স্বপ্নের বৈকুণ্ঠ মরুময়।
এখানে প্রেমিকের চোখ
যেন অশ্রু ঝর্নার উৎস পথ।
চায়ের টেবিলে বিষাদ,
মৌন সিগারেটের জ্বলন্ত অঙ্গারে বিষাদ,
কবিতার বইগুলোতে
ধুলো আর বিষাদের ছড়াছড়ি।
গোধূলির আলোও এখানে
কান্নার সঙ্গহীন আবহ জাগায়।
নিয়মিত দুপুরে
ডাইনিং এ মুখোমুখি! নিস্তেজ অনুভূতি সব।
দরজার ওপাশে তবু
প্রতীক্ষিত সেই জন,
প্রেমিক হয়ে যে
বিপ্লবের পথে, মৌন দহনে দগ্ধীভূত নিয়ত।
যদি বৃষ্টি আসে, তখন
অশ্রু আসে- অভিমানের
না পাওয়ার বিষণ্ণতায়
যাতনার রঙ হয় কালো মেঘ ।
প্রেমিক উন্মাদ হয়,
প্রেম আঁকে শব্দে,
অথচ বিষাদের ক্যানভাসে,
অশ্রুর তুলিতে, বিবর্ন বোধে।
পুষ্ট সন্ধ্যায়
প্রেয়সীর চুমু কাংখিত বটে,
তবু সভ্য গৃহে
অপেক্ষায় থাকে নিয়মের অনিবার্য আরেক পৌরষ ঠোঁট ।
যাতনাময় চুমুর
অভীপ্সাও তখন প্রেয়সীর কাছে কেবল
অচ্ছুৎ থুতুর ছড়াছড়ি।আকাংক্ষিত গোলাপি জিভ প্রেমের সুধায় নয়
অরুচিতে ধরা দেয় মনে, প্রবল বিবমিষায়।
অর্থহীন আবেগে আবার
আহত হয় প্রেমিক,
কেউ কি জানে- শরীর তবু
শেষ কথা নয়।
মনের গহীনে সজ্জিত
যার ছবি তার সব কিছুই তৃপ্তির
লালা, ঘাম, যোনি সব ।
প্রেমিক সর্বময় প্রেমকে আঁকতে জানে।
সময় তবু তারে দেয় না
সেই অধিকার,
তাই প্রেমিকাও
নিশ্চুপ।
No comments:
Post a Comment