Tuesday, June 30, 2015

হারাই অজানায়


প্রতীক্ষায় আছি
যদি অন্ধকারের বুকে ঢেলে দাও
অবারিত প্রসারিত জ্যোস্নার ঢল
কুমুদী শোভায় কাটবে তিমির আঁধার।
কখনো হয়তো-
বিচ্ছেদ পটে বিছিয়ে দেবে
বর্ণীল তারকা রাজি
ছোট ছোট রঙিন অনুভূতি,
ছোট ছোট সুর, কিছু বিক্ষিপ্ত অভিমান।
প্রেমে আর যাতনায়
আমি সহাস্যে উড়িয়ে দেব
বাষ্পীভূত দুঃখ,
মুহূর্তেই কৈশোরের সময়ের মত
তুমিও একান্ত আমার হয়ে যাবে ।
বৃষ্টি ভেজা জামা আর শরীরের মত
একাকার হয়ে রও, এই বুকে।
এসো তবে, সস্তা প্রেমের কথাই হোক।
হারাই অজানায়।

Sunday, June 28, 2015

এ কেমন অধিকার



তোমার আমার অধিকার
জন্ম দিল  মনোবিকার
কি আজ তবে সমকাম
অধিকারের অপর নাম।
নিজেকে আজ মুক্ত বলি!
বিকার নিয়ে এগিয়ে চলি ।
বলতে পারো একবার
এ কেমন অধিকার?

Tuesday, June 23, 2015

আত্মসমর্পণ

ওঁত পেতে বসে আছে খ্যাপাটে অন্ধকার
মুহূর্তেই আঁধারের গোগ্রাসে গিলে ফেলতে সব
বিকট মৌনতার হুংকারে, অভিশপ্ত হতাশায়।
পথ ভুলে দিশেহারা জীবনের নানামুখী বাঁক।
শত সহস্র শতাব্দীর কৃষ্ণগহ্বর ফিনকি দিয়ে
নিঃসরণ করে অভিশপ্ত আঁধার এক, যেন
বনলতার উপমায়িত কালো চুলের মতই
আঁধার-নিমজ্জনে সময়ের বসবাস আজ।
মেপে হাঁটা সীমারেখা অধীনতায় ধরা দেয়
হস্ত তালুর ভাগ্যরেখায়। বুলেট কিংবা কবিতা?
শব্দের উত্তাপ আজ শব-শীতল বুলেট গর্জনে।
শ্লোগান কিংবা ঝঞ্ঝার বিক্ষুব্ধ হুংকার
বারুদের অহংকার  আর বিকট বিস্ফোরণ ,
থুবড়ে পরা মনুষ্যত্বে কালশিটে পরে অন্ধকারের।
সিগারেটের পোড়া গন্ধে কবি জানান দেয়
তার নির্বিকার নীরব আত্মসমর্পণ- অন্ধকারে।
  

Monday, June 22, 2015

ভেজা ভেজা প্রেম


বসে আছো নিরালা
বরষার ও বেলা
মুখরিত  জানালা
সুখময় এ খেলা।
খেলে যাও আনমনে
বাসি ভাল প্রাণপণে
ভালোবাসা বরষায়
দুটি মন দিল সায়।
ভেজা প্রেম ভেজা বুক
ভেজা ভেজা সব সুখ।
এসো মোরা আজ তবে
প্রেম আঁকি নীরবে।

Thursday, June 18, 2015

ওষ্ঠের তৃপ্ত স্পর্শে তুমি

জীবন্ত হও বারুদের তপ্ত ঘর্ষণে,
উষ্ণ ছোঁয়ায়। জানি তোমাতে সুপ্ত
শত ব্যাধির বিষ আর
অভিবাবকীয় শাসন। তবু
আপন করে নেই তোমায়।
নিথর তুমি জ্বলে ওঠো ওষ্ঠের
তৃপ্ত স্পর্শে । নিবিড় অঙ্গার হও
প্রতিটি নিশ্বাসের  আনাগোনায়।
হয়েছ সখা বাড়ন্ত তারুন্যের
অবাধ্য  সুকতায় ।
তোমায় নিংড়ে নেই উজার করে
হৃদয়ের দহন তোমার দহনে
উবে যায়  নিমেষ।
উদ্ভ্রান্ত বিকেলের মৌনতায়,
প্রিয়ার গাঢ় অভিমানে,
দুর্বার তারুন্যের আড্ডায়-
তোমায় ছুঁয়ে যাই, পান করি
নির্যাস তোমার । তপ্ত হও,
অঙ্গার হও নিশ্বাসে মিশে।
তৃপ্ত  আভায় ছড়িয়ে যাও
সর্পিল ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে।
জানি তুমি দংশন করে যাও
হৃদপিণ্ডে, ছড়িয়ে যাও তোমার
বিষাক্ত সুধা রক্তের ফোটায় ফোটায়।
তোমার সঙ্গ নিষিদ্ধ বলে তোমায়
আইন করে গৃহবন্দী করা হয় ।
তবু তুমি কামনার অপার মোহে
অস্তিত্বের জানান দাও
প্রেমিকের ওষ্ঠে ওষ্ঠে,
নিশ্বাসের উষ্ণ প্রবাহে।
বাজেটে উচ্চ শুল্ক বসলো-
রুখতে তোমায়, কে পারে
রুধিতে তোমায় ! ওষ্ঠে ওষ্ঠে
ভেসে বেড়াও, নিজেকে অঙ্গার করে
তৃপ্ত করে যাও আমায়।
কতবার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলাম-
বিচ্ছেদে যাব, জীবনে তোমার
থাকবে না অস্তিত্ব। জানি তোমাতে
আছে মৃত্যুর আভাস। তবুও
আবার কাছে টেনে নেই তোমায়
নিঃশ্বাসে সঙ্গী করে। 
সুখ নেই তোমার দহন জ্বালায় ।
ওষ্ঠের তৃপ্ত স্পর্শে তুমি অনির্বাণ ।