শুনেছি আজ কবিতা নাকি সুসজ্জিত আসবাবের মতো
বিক্রিত হয় বাজারে, এ হাত অহাত ঘুরে ঠাই পায়
ড্রয়িং রুমে সাজানো দামি বুকশেলফে, বর্ণীল মোড়কে।
ইদানিং কবিরাও নাকি বিক্রি হচ্ছে ঢের।অর্থের তালে
লহরিত হয় ছন্দরা, বিবেকের তাড়নায় নয়, মোহরের
ঝংকারে লোভাতুর- হুট করেই কবি পরিচয়ের দাপট।
আমার কবিতাও হয়ে যায় পার্কে বসা প্রেমিক
প্রেমিকার
বাদাম আর ঝালমুড়ির পাতলা ঠোঙ্গা, ক্ষতি কি!
আমার কবিতা তো কালের ধোপে টেকে না আজ,
আজকের রচয়িতা তো বেশ আছে কবি পরিচয়ে
অন্ধকারেও
লাল নীল বেগুনীবাতির নিষিদ্ধ প্রমোদে। লালসার
কামায়িত
সুখে বিভোর। আমার কবিতা পরে থাক মলিন আস্তাকুরে।
না আজ কবিরা উম্মাদ, কবিতা কেবল প্রগলভতা,নিরর্থক
যৌন সুড়সুড়ি না থাকলে, সে কি আর কবিতা হয়?বলেছে
কে শ্রাবনের আকাশ নিয়ে কিংবা ডাস্টবিনের পাশে
সদ্য
ভূমিষ্ঠ শিশুর চীৎকারকে কবিতার ভাষা?স্বাধীনতাও স্রেফ
সেকেলে অনুভূতি।
প্রেয়সীর সুডৌল স্তন আর প্রশস্ত নিতম্ব
ছাড়া কবিতাই হয়তো অর্থহীন আজ। আবেগের মোহনায়
ভাসার আজ কি প্রয়োজন, দুই একটা শক্ত কথা জুড়ে দিয়ে
কিংবা কয়েকটা গালাগাল, সেই সাথে সুড়সুড়ি তো আছেই
হয়েই তো যায় সময়ের কাটতি যাওয়া অনর্গল কবিতা।
ঝুলে থাক সব শব্দরা অন্ধকারের অসভ্য কাঁটাতারে।
আত্মিক তৃষ্ণা তো বোগাস সেন্টিমেন্ট, পকেট ভারী থাকলেই
সব হল, কবির সংখ্যা বাড়বে, কবিতার সংখ্যা বাড়বে,
বাড়বে পাঠকও। বাঁকময় দেহের বর্ণনা সমেত লেখা তো
মন কাড়বেই। বিদ্রোহের সুর, অনাবিল প্রেমের উদাত্ত বোধ
পরে থাক অবহেলায় সেকেলে কবিদের ভাবনার কারাগারে।
মুক্তির ডাকে কাবির কবিতা নাই বা সুর তুলল উদয়ের,
নাইবা কাব্যে প্রকাশ পেল গহীন বরষা। এতো আজ কাব্য
নয়। কাব্য আজ বেজন্মা নষ্ট কবিদের কলমের দখলে
বন্দি।
No comments:
Post a Comment