প্রিয়তমা, সহসা প্রভেদ্য বাসনায় বিদ্ধ হও অনর্গল বর্ষাছেদে, বড় তৃষ্ণা আমার। কবেকার মধুমায়া বিছিয়ে দিয়ে আমায় করেছো ওলি। বড্ডবেশী
তোমার তোরে কাতর হই।রাত্রির বিদ্গুটে সামিয়ানা আমায় করে নির্লজ্জ। সমাজের চোখে
কিংবা রাষ্ট্রের চোখে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ করে বসি। প্রচলিত নিষিদ্ধতা আমায় আপন করেছে
তোমার আবির্ভাবে।অজড় মনের সাথে মনের যে আলিঙ্গন লৌকিক সমাজ তার পায়ে বেড়ি বাঁধে
কোন স্পর্ধায়! তিতিক্ষায় থাকি বর্ষা হবে তুমি। সিক্ত আবির্ভাবে আমায় করবে পূর্ণ।
আবার অবাধ্য প্রেমের উদ্যমে অবসর মিলবে না তোমার।
জানি উচ্ছ্বল হেসে আমায় পাগল বলবে। নিভৃতে প্রসারিত করবে বাহুডোর, আমায় নিমজ্জিত করবে প্রেমের অবগাহনে।
দূরে তুমি, দূরে আমি। সে তো কেবল দৈর্ঘ্যের গাণিতিক
সমারোহে। বিমূর্ত ভাবনায় আমাদের চুমু অনায়াসে রাত্রির বুকে দীপ জ্বেলে শুরু করে
প্রেমের যজ্ঞ। তখন কৃষ্ণপক্ষ অভিশপ্ত বসন খুলে ফেলে কবিতার প্রহরে মিশে যায় পরম
তৃপ্তিতে। এক একটি নিঃশ্বাস এক একটি নৈঃশব্দ্য ভাষা। তিলোত্তমা পরিচয়ে উঠে আসো
ক্ষুধার্ত কর্নিয়ার লেন্সে লেন্সে। অপরূপ আভায় সুঘ্রাণ ছড়িয়ে নিমেষেই মিশে যাও
আমার ভাসনার পরে।এর পর কামার্য অভীপ্সায় অপ্রতিরোধ্য হই তোমার আহ্লাদে। মৃদু হেসে
অনুভূতির পূর্ণ সুখে স্ফুট বলে ওঠ “পাগল প্রেমিক এক”। নিংড়ে নেই নির্যাস সব। আরও অঢেল সুখ ছড়িয়ে তুমিও ঢের অফুরান।
প্রিয়তমা, এসো গ্লানির অন্তযাত্রায় তৃপ্ত সুখের উদ্ভাসিত
হেমে গড়ে তুলি এক মকমলের রাত্রি।
No comments:
Post a Comment