Monday, September 4, 2017

অদ্যাপি




কলমের সরু কায়ায় জমেছে রুগ্ন ক্লান্তি,
শব্দের অনুনাদে তাই দীর্ঘশ্বাসর ভর ।
সময় গিয়েছে বয়ে স্থির বসন ছুঁড়ে দিয়ে
দূর্বার চলন্তিকায়, সব রঙ তার গোগ্রাসে
গিলে ফেলে  নেমেছে অন্ধকার।
চোখের আলোয় অবিশ্বাস যেন স্ফীত নৈরাশ্যের মতই ব্যপ্ত।
শব্দরা মাঝে মাঝে মধ্যরাতের ব্যর্থ প্রেমের একাকী সংলাপ
হয়ে প্রতিধ্বনিত হয় বদ্ধ দেয়ালের এপাশ ওপাশ।
পৃথিবীর সব ফুল সৌরভ ছেড়ে বুকে নিয়েছে
ঝাঁঝালো আস্বাদ। জেগে উঠে দেখো-
আমাদের লালিত বোধে আজ ক্ষমাহীন স্থবিরতা।
হে অমানিশা, আরও প্রকট হও।
প্রতীক্ষিত আলোর পথ রুধে দাও বিকটতায়।
তবু একদিন ভোর হলে তুমি আমি একসাথে
ইতিহাস হবো অনন্ত ঘৃণায়।

নির্বাণ



নদীর তীরে বাঁধা নৌকো জলের হিন্দোল সুখে মত্ত।
কেউ জানে না স্রোতের তাণ্ডবে নোঙ্গর ডুবলে সেও হবে দিশেহারা।
অশরীরী রাত্রির মত বিপন্ন বিকট স্তব্ধতায় প্রাণহীন রবে।
এরপর পাখিদের ডাক সব কেড়ে নেবে নিশাচর প্যাঁচা।
কৌরবে লালিত ধৃতরাষ্ট্র অন্ধকারেই খোঁজে নিষিদ্ধ ভবিষ্যৎ।
আরও একটি ভ্রমের নিশিথে বিভ্রান্ত তরী নিমজ্জনে লীন।
শত প্রেমিক অগত্যা মাথা পেতে দেবে গিলোটীনে নির্ভীক-
মুক্তি খোঁজো অন্ধকারে? পৃথিবীর সব সুর ক্রন্দনাক্রান্ত।
কেউ ভুলে থাকে আর কেউ থাকে ভুল এ, অন্তহীন অমিল।
আমাদের রক্তে, অস্থিতে মজ্জায় জমতে থাকে অন্ধকার
ব্যথার কালো অক্ষরের মত, নির্বাণ সুখে খুঁজে নেই মুক্তি।
পৃথিবী ঘুমোলে জেগে উঠবে সকল বিষণ্ণ কবিতারা,
প্রেমিকার বুকে তবু দহন নয়, জমে থাক উষ্ণ কাম
শিহরণে শিহরণে নিবৃত্ত হোক নতুন শরীরের গন্ধে।
এরপর বৃষ্টি হলে নেমে আসুক ঘুম ঘুম আদ্র শীত।
কখনো পুরনো ডায়েরীতে চোখ বোলালে কবিও ফিরবে একদিন
কান্না হয়ে, একাকী অবসাদে ভুলে ভরা স্মৃতির রোমন্থনে।