Wednesday, June 21, 2017

দেবী ২



তুমিও দেবে সান্ত্বনা আরও একটি ঝড়ের পড়ে
মাথা তুলে দাঁড়াবার প্রত্যয়ে। হাত তুলে আহ্বান করবে
একটু একটু আমি উঠে দাঁড়াবো তোমার সাড়ায়।
এরপর ঝড় থেমে গেলে তুমি নেই।
আমিও দাড়িয়ে তোমার স্পর্শ নিয়ে।
কে তুমি হে মোহিনী কভু শরীরী, কভু অশরীরী
অনেক অনেক রাত্রির পরে, ঝড়ের পরে তোমার কোমল মুখ
সে কেবল প্রেম নয়, বেঁচে থাকার প্রত্যয়।
অথচ নিক্বণে তোমার সুর দূরে দূরে সড়ে,
মন্দাক্রান্ত প্রেমেও আমার স্বচ্ছ চোখ তোমায় ছবি আঁকে।
তুমি নেই? আবার যে ঝড় আসবে?
তখন আসবে আবার? তুমিই প্রভঞ্জন।

Tuesday, June 20, 2017

দেবী



এরপর স্বপ্নহীন রাত্রি গুলো প্রেমহীন কামের মতই নিথর-
শরীরী সমর্পনে নিয়মের সংহার।
প্রেম বড় দুর্লভ এই মুখোশের প্রেক্ষাগৃহে।
তুমি অবিনাশী, প্রেমের মতই।
রাত্রির কামিত আহবানে পোশাকি সংগম নও।
সহস্র মৃত্যুর পর পুনরুত্থান ঘটে প্রেমিকের
তুমি আছ বলে কিছু রাত্রি এখনো স্বপ্নময়।
কামপীড়িত ক্ষুধার্ত যোনীর আকুতিতে প্রেম আবদ্ধ নয়।
তোমার প্রসারিত বাহু আজো এই বর্তুল বসুধায়
প্রেম নিয়ে আসে রাত্রিতে।
অত:পর রাত্রি হোক স্বপ্নময়, অবারিত প্রেমে।

Tuesday, June 6, 2017

অবসাদে দীপান্বিতা



রোদ গুলো লুটোপুটি ঘায় জানালার পাশ ঘেঁষা
ইজি চেয়ারের দীর্ঘ আলস্যে। শব্দের টানাপড়েনে কবিতা,
তবু রোদ এসে জাগায় তোমায়, ঘুম কোলে শুয়েছিলে বুঝি
শত রাত্রির গহীন মেদুরতায়, সুরের উচ্ছ্বাসে।
ভিড় করেছিল বিকেলের নির্জন সুখ, কফির কাপে
মুঠোফোনে প্রতীক্ষিত কোনো স্বরের ব্যকুল কণ্ঠের উ
কণ্ঠা।
চেনা শরীরের ভাঁজে ভাঁজে অচেনা স্পর্শের দহন
উষ্ণ নয়, দগ্ধ করে জানি। জানালার ফাঁকে আলো গড়িয়ে
উড়ে এলো রোদ, গতরাত্রে বিস্মিত ঘুম,
অগোছালো কবিতার শব্দহীন দ্যোতনা, শ্লেষহীন প্রত্যয়ে আবার।
কান পেতে ছিলে তুমি? শুনেছিলে সময়গ্রন্থির ব্যগ্র আহ্বান?
নিয়মের খোলসে সুখের কিছু সীমা আছে, ইজি চেয়ারে
নয়ত মধ্য রাত্রে একাকী জীবনানন্দে। আমিও ঝপ করে
আচমকা বৃষ্টি হয়ে ধুয়ে দিতাম শ্লেষ, বোধের বিপন্ন বিস্ময়ে।
তুমি জেগেছিলে, মৃদু হাসলে। এরপর বললে- থাক।