সময়ের কাছে পরাভূত
বাস্তবতা
পরিচয়হীন আশ্রয়
খোঁজে কান্নার সরু রেখায়,
ঠিক আশ্রয় নয়, একে
সান্ত্বনাই বলা যায়।
তাই পাথুরে সময়ের
নিষ্ঠুর আঘাতে
কবিতা রক্তাক্ত হয়,
কবি মূর্ছা যায় বিষাদে।
সহস্র শতাব্দীর
জমানো শক্তির শেকল
আবদ্ধ করে মুক্তির
কণ্ঠস্বর। প্রতিবাদের ব্যর্থ দম্ভে
আদর্শগত চেতনায় জড়তা
তাই।
উদ্বেলিত সকাল আজ
সাক্ষ্য দেয় শূন্যতার।
উদ্যম তো স্রেফ
দ্রাক্ষা পেয়ালা হয়ে
খুনি বেদনার হাতে
সমর্পিত ।
আমাদের কবিতার
অক্ষরে অক্ষরে বিজ বুনবে নৈরাশ্য।
শব্দহীন পরিপাশ
আঁকড়ে ধরবে আমাদের সুরেলা সময়।
মুক্তির গান তাই
আর্তনাদ।
নৈশব্দে কাঁদে
নির্জন অরণ্যে ।
প্রতিদানে কান্নার
নিঃশব্দ প্রতিধ্বনি অনিমেষ অবিরাম।
দূর সাগরের বুক থেকে
ভেসে জাহাজির আগমনী সুর।
জানি ওঁত পেতে আছে সেই
শত সহস্র হিংস্র
পিশাচ,
সময়ের মদদে ওরা তাণ্ডবে মত্ত হবে ধ্বংসের।
তবু মোরা আবার সুরের
বাঁধনে বাঁধতে চাই গান,
শব্দের মালায় কবিতার
ছন্দ তান।
জানি বৈশাখের রুদ্র
দহন চেতনায় ঠাই নেবে
আর সময়ের বিপরীতে
সাজাবো রনাঙ্গন।
ভ্রম নয়, বাস্তবেই
মেতে উঠবে কবিতা যুদ্ধের ছন্দে।
হয়ত বর্তমানের ওপাশে
প্রতীক্ষারত
আজ বিজয়, নয়ত
ভ্রান্তির কুহকে আবার
পরাজিত সৈনিক হয়ে
অন্তিম নিমজ্জন।
তবু কবিতার বুকে কবি
গড়ে যায় জীবনের স্পন্দন,
সময়ের সাথে দ্বৈরথে
অবিচল।
No comments:
Post a Comment