Tuesday, December 4, 2012

স্বপ্নের বৈরিতা




রাত্রির সীমাহীন বিরুদ্ধতা
স্বপ্নভুক পিশাচের অবাধ চরাচর।
এখানে বাতাসে স্রমিকের মৃত শরীরের গন্ধ
এখানে ঈশ্বরের চোখে পরাজিতের গ্লানি,
মুক্তির প্রতীক্ষায় ধরা।

জেগে ওঠেনা আর বিপ্লবের ক্লান্ত কায়া
চোখ মেলে দেখি মুক্তির সমাধি
আবহে বাজে শোষিতের আর্তনাদ
রক্ত ঘামে উর্বর ওই পুঁজিবাদের পদতল।।

Thursday, November 29, 2012

ভালোবাসা মানে

ভালোবাসা মানে তোমাতে আমাতে আবেগের ঢেউ খেলা
তোমায় নিয়ে অকারণ শত কবিতা লিখে ফেলা।
ভালোবাসা মানে অযথাই শুধু তোমার ছবিটি আঁকা
কফির পেয়ালা ফুরিয়ে গেলেও মুখোমুখি বসে থাকা।

ভালোবাসা মানে মিছিলে মিছিলে দ্রোহের শব্দ বোনা
সাম্য স্বপ্নে বিভোর কবির উৎকণ্ঠিত যাতনা।
ভালোবাসা মানে তোমার ওষ্ঠে উষ্ণ চুমুর ছোঁয়া
ওড়না ঢাকা তোমার বুকে দৃষ্টি গ্রথিত হওয়া।

ভালোবাসা মানে গণসংগীতে জাগরনি সব গান
মাঝ রাত্রিতে মুঠোফোনে পাওয়া তোমার আওভান।
ভালোবাসা মানে অভিমান নিয়ে বুকে জমা করা নিকোটিন
বিপ্লবী বেশে দ্বিধাহীন বলা- ভালোবাসি তোমা সীমাহীন।।



Tuesday, November 20, 2012

রক্তাক্ত দ্রোহ

অঝরে ঝরে বিপ্লবীর বুকের তাজা রক্ত
শোষণের পিশাচ তখন উল্লাস করে
বিপ্লবীর কর্তিত করোটি ভরে করে
রক্ত সুধা পান।
ঘুম পাড়ানী গানের কপট মায়ায় নির্বিকার হয়
সমাজ- সভ্যতা আর বোধ।
আর্তের মতো গোঙ্গানি শুনি প্রেমের
এখানে প্রেমিকের চুম্বনের পর
সমাজ ওই ঠোঁটে ঢেলে দেয় অস্পৃশ্য পাপের হেমলক।
এখানে প্রেয়সীর উদোম দেহে ঢেউ তোলা স্তন স্পর্শের উন্মাদনা
অশুচি।। সমাজপতিদের জিভকাটা লজ্জা আর গ্লানিতে আড়ষ্ট।

আর বিকট রাত্রির গুমোটে  ওরাই আবার
ভাজ্ঞাহত দেহস্রমিকের মাংসল নিতম্বের দোলায়
সমাজের বুকে গেঁথে দেয় অসহায় আর বঞ্চিত ভ্রূণ,
সূর্যদেবের জাগরণে যার নাম জারজ পাপ

সাম্যের স্বপ্নে অধির পথিকের পায়ে
ওরা বেঁধে দেয় স্থবিরতার শৃঙ্খল,
কবিতার গায়ে অশ্লীলতার দায় চেপে
কবিকে করে অচ্ছুত, দ্রোহ আর প্রেম এখানে নিষিদ্ধ।

দ্রোহের বিপরীতে বুলেট আর প্রেমের বিপরীতে
সাম্প্রদায়িক ক্রুদ্ধ চোখ।
পত্রিকার বুকে ক্রমেই জমে ওঠা বঞ্চনা
ওদের চখে বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
শোষিতের রক্ত চুষে ফুলে ওঠা শোষক এখানে সমাজপতি।

Thursday, November 15, 2012

সে অপ্সরা



দৃষ্টি যে তার স্বপ্নমাখা
সুচিস্মিতার বর্ণে আঁকা
মন যে আমার উদ্বেলে হায়
উর্বশী সে তাই বলে যায়
মিষ্টি ঠোঁটের স্নিগ্ধ হাসি
চিত্তে মম বাজায় বাঁশী
ছন্দ তান আর সুরে সুরে
তার ছোঁয়া আজ কাব্য জুড়ে
মৌমাতাল ওই বক্ষ যে তার
জাগিয়ে তোলে বাসনা আমার
পটল ছেড়া ও দুই চোখে
হারাই আমি কল্পলোকে
ছিপছিপে তনু কলসি কটি
আমার তাড়ায় দেয় যে ছুটি
দৃষ্টি আমার আবেগ ভেলায়
চপল কটির ছন্দ দোলায়
মৃদু সমীরে তার এলো চুল
ছুঁয়ে যেতে মোর হৃদয় ব্যাকুল
দুষ্টু হাওয়া অবাধ্যতায়
দস্যি হেসে ওড়না ওড়ায়
লাজুক আভা প্রান ফিরে পায়
সন্তরপি ওই মুখের মায়ায়
আবেগ ক্লিষ্ট ওই স্নিগ্ধতা
দূর করে শত বিবর্ণতা
তার চাহনির প্রভঞ্জনে
নব প্রভাত আজ সবার মনে
শ্যাম বরণ ওই মুখের ছবি
উল্লাসে তার মুগ্ধ কবি
জমিয়ে যে ভয় কলমটা কয়
রাগবে না সে তাই মনে হয়...


Wednesday, November 14, 2012

বোধের মৃত্যু

কোন এক গোধূলির পরে
ক্লান্ত উদাস রাত্রির চরাচরে
সীমাহীন অপরাধ বোধের গ্লানি
বিকট পাপের বিষণ্ণ হাহাকারে
বোধের আহত ডানায় ভর করে
হতাশা।হাতরে খুঁজে ফিরি
এই জড়তা ভরা নিঃশব্দের পরে
তারুন্নের উদ্বেল।

বিবর্ণ বিকট বর্তমানের কাছে
পরাজিত সেই বোধ, দর্শন।
সেই স্পর্শ আজ আলোড়ন হয়ে জাগে না,
কেবল দহন জ্বালা, সেই চুমু আজ
উৎকণ্ঠার নয়, আবেগ রাঙ্গান ভালোবাসার নয়,
প্রচলিত সমাজের চোখরাঙ্গানো নিষেধের
চাতুকারিতায় মগ্ন।

নিরবধি কেঁদে যায় চেতনার অতীত।।