Monday, April 8, 2019

নিষিদ্ধ অন্ধকার


অনাকাঙ্ক্ষিত অবোধ্য যাতনায় অশরীরী সময় ছেদ আঁকে ক্রুদ্ধতায়
বদলে যাওয়া হেম, বদলে যাওয়া ঘ্রাণ, কখনও পরিবর্তিত অনুভব
আকাশটার নীল বসনে আবীরের রক্তাক্ত ছোপ, অপরাহ্নের ডাক।
এরপর নামলে অন্ধকার, আলোকভ্রমে খুঁজবে কে কারে বিভীষিকায়?  
কালো শামীয়ানায় মুখ লুকোনো অপারগতায়, কখনও হেয়ালি বিস্মৃতি
এই পথে হেঁটেছিল সুজাতা, হেঁটেছিল শ্যামলি আর সুরঞ্জনারা ।
বনলতা টিকে রয় অন্তরাত্মায়, কত নামে ডাকি তারে, কত যাতনায়!
নীরব রাত্তিরে অনর্গল কর্কশ ডাকে নিশাচর প্যাঁচার দল,
কবিতার শব্দ আর্তি ভুলে মূর্ছা যায় ডাস্টবিনের কুঁকড়ানো কাগজে।
অজস্র পেয়ালার হেমলক গমনোন্মুখ থাকে পাকস্থলীকে আশ্রয় করে
গতজনমে ভালবেসে ছুঁয়েছিলে হাত। হয়েছিলে নীল শাড়ির বনলতা
বর্ষীয়সী শব্দের প্রেমারক্তি শাশ্বত হয় রোদনে, ভারি দীর্ঘশ্বাসে ।
তারে আর মনে নাই, ভুলে গেছে সব, হেঁটে গিয়ে কয়েকশ মাইল
কণ্ঠের আড়ষ্টতায় ভুল শব্দটি বড় অস্ফুট এক উচ্চারণ।
কালো পায়রার ডানা মিশে যায় অন্ধকার রাত্রির বিশালতায় ।
চুরি সঙ্গমে বিভোর রমণীয় শীৎকারে প্রান পাক নিষিদ্ধ অন্ধকার ।

Sunday, April 7, 2019

বিবহল সুখ


কথা ছিল স্বপ্নের অভিসারের স্ফুরিত গড়লে ভিজবো একসাথে
এরপর চাঁদ ডুবে গেলে অদ্ভুত এক জীবনানন্দীয় অন্ধকারে
আলো খুঁজবো পারস্পরিক আলিঙ্গনে, বিষাদ প্রহর যবনিকায়।
শাড়ির ভাঁজে লুকানো উন্মাদনায় অস্ফুট বিবহল সুখ নিয়ে
হেঁটে চলো অবিরাম অদেখা সময়ের খেয়ালী চলিষ্ণুতায়
পথে পথে খুঁজে পাবে পরিচিত এক ছায়া, হাঁটছে-ভালোবেসে।