দীপান্বিতা, স্বপ্ন সমাধিতে
পিশাচ উল্লাস । অন্ধকারের প্রকট আবরণে ঘিয়ে রঙা চাঁদ কবেই তার অষ্টাদশ যৌবন হারিয়ে অসহায় নিজেকে
সঁপে দিল অমাবশ্যার গহীনে। কবিতার খেরোখাতায় ছন্দহীন শ্লেষ। নিরুদ্দেশ পথের অসীম
ব্যপ্তিতে খেই হারায় ইচ্ছেঘুড়ি। নীল আকাশের বুকে কালো মেঘের ছোপ ছোপ দাগ যেন এক একটি ব্যালাস্টিক
ক্ষত। স্বপ্ন সমাধিতে আবার উল্লাস। পিশাচের অট্ট দাম্ভিক হাসি সাক্ষ্য দেয় নিত্য পরাজয়ের। বেলাশেষের আগেই নেমে
আসে অন্ধকার। রক্তঘামে জমা পড়ে স্তুপায়িত নিপীড়িত বোধ। কালশিটে পড়া ভোর গুলো
আপন পরিচয় ভুলে ঘুমন্ত থাকে কুয়াশার ঘোরে। তুমি কি শুনতে পাও সেই আর্তনাদ?
ক্ষমা করো দীপান্বিতা। উষ্ণ ঠোঁটের ভেজা স্পর্শ নিয়ে পেমিক হতে পারিনি। পারিনি চোখে চোখ রেখে, প্রেমের
শব্দাবলী কবিতায় এনে নির্মল বিকেল আর তোমার আলিঙ্গনের অনিমেষ নির্যাস নিতে। এই সমাজে প্রেম খুব
স্বতন্ত্র এক বস্তু। একে সার্বজনিন করার সংগ্রাম আহত প্রেমিকের বিষাদের চেয়ে কম
কছু নয়। দীপান্বিতা , হয়তো আসবো ফিরে, পিশাচের অবসানে। স্বপ্নগুলোকে সমাধিতে
নয় , হৃদয়ে আসীন দীপ্ত অহমিকায়। ভোর হোক, আমি ঠিক
আসবো। প্রেম নিয়ে প্রতীক্ষায় থেকো দীপান্বিতা , বহুদিনের ক্ষুধার্ত প্রেমিক হব।