Thursday, December 1, 2016

ভোর হোক, আমি ঠিক আসবো



দীপান্বিতা,  স্বপ্ন সমাধিতে পিশাচ উল্লাস অন্ধকারের প্রকট আবরণে ঘিয়ে রঙা  চাঁদ কবেই তার  অষ্টাদশ যৌবন হারিয়ে অসহায় নিজেকে সঁপে দিল অমাবশ্যার গহীনে কবিতার খেরোখাতায় ছন্দহীন শ্লেষ নিরুদ্দেশ পথের অসীম ব্যপ্তিতে খেই হারায় ইচ্ছেঘুড়ি নীল আকাশের বুকে কালো মেঘের ছোপ ছোপ দাগ যেন এক একটি ব্যালাস্টিক ক্ষত স্বপ্ন সমাধিতে আবার উল্লাস পিশাচের অট্ট দাম্ভিক হাসি সাক্ষ্য দেয় নিত্য পরাজয়ের বেলাশেষের আগেই নেমে আসে অন্ধকার রক্তঘামে জমা পড়ে স্তুপায়িত নিপীড়িত বোধ কালশিটে পড়া ভোর গুলো আপন পরিচয় ভুলে ঘুমন্ত থাকে কুয়াশার ঘোরে তুমি কি শুনতে পাও সেই আর্তনাদ?

ক্ষমা করো দীপান্বিতা উষ্ণ ঠোঁটের ভেজা স্পর্শ নিয়ে পেমিক হতে পারিনি পারিনি চোখে চোখ রেখে, প্রেমের শব্দাবলী কবিতায় এনে নির্মল বিকেল আর তোমার আলিঙ্গনের অনিমেষ নির্যাস নিতে এই সমাজে প্রেম খুব স্বতন্ত্র এক বস্তু একে সার্বজনিন করার সংগ্রাম আহত প্রেমিকের বিষাদের চেয়ে কম কছু নয়  দীপান্বিতা , হয়তো আসবো ফিরে, পিশাচের অবসানে স্বপ্নগুলোকে সমাধিতে নয় , হৃদয়ে আসীন দীপ্ত অহমিকায় ভোর হোক, আমি ঠিক আসবো প্রেম নিয়ে প্রতীক্ষায় থেকো দীপান্বিতা , বহুদিনের ক্ষুধার্ত প্রেমিক হব

Tuesday, August 2, 2016

দু অক্ষরের পরিধি



এরপর আর নীলাভ আভায় নয়, তমসার অভেদ্য জালে নিয়ত জড়িয়ে যাওয়া আর পোড়া সিগারেটে উড়িয়ে দাও আক্ষেপের শ্বাস। এরপর আর কবিতা নয়, চারিদিকে শব্দ বুনে যাক অকথ্য সংলাপ। তাই প্রেমও আর চপলানন্দে
উদ্ভাসিত হয়ে সপ্তবর্ণে বর্ণীল নয়। ঘৃণা আর বিষাদের গ্রাসে ফ্যাঁকাসে বিবর্ণতায় গড়াগড়ি খায় অপ্রাপ্তির তাড়নে। নির্বাসিত ছন্দরা মুখ ফিরিয়ে নিক পাণ্ডুলিপির লোকালয় থেকে। পড়ন্ত বিকেলের কোমল রোদটুকু অগত্যা আবছা অন্ধকারে মুখ লুকাক। প্রেয়সীর শরত-শোভিত শরীর ক্ষতবিক্ষত হোক কুসিত লম্পটের নখের আঁচরে। শূন্যতা গ্রাস করুক সবুজের সতেজ কক্ষপথ। এসো তাই লালিত হোক আজ বোধের সীমাবদ্ধতা স্বারথপর আড়ম্বর । 
আমি তুমি আর বাকিরা চোখ বুজে সয়ে যাই অন্ধকার, জন্মান্ধ ভেবে। স্বপ্ন তো শুধু যুক্ত বর্ণের নিষ্প্রাণ সমন্বয়, দু অক্ষরের পরিধি।

Saturday, July 16, 2016

বিপ্লব



স্বপ্ন সমাধিতে শুয়ে আছে বিপ্লবী ব্রত।
বিপ্লব আজ ঝলসানো আগুনে আধপোড়া শবদেহ
বীভসতাই দেখা যায়, ভেতরের যাতনা নয়।
সময়ের বহতায় আপোষকামী চেতনার ললাট
লুটপুটি খায় স্বার্থের পায়ে। নিমেষে নিমজ্জনে যাই
তুমি আমি আমরা। অগণন ধুধু প্রান্তর
নিষ্প্রাণ পড়ে থাকে সবুজের রঙ মেখে শুধু।
আকাশ বিক্ষিপ্ত লুটিয়ে পড়ে বৃষ্টিভেজা শহুরে
ক্লেদাক্ত রাস্তায়, জনতার কলরবে বিপ্লব জাগে
চায়ের কাপের উত্তালে, দু একটি সেকেলে কবিতায়।

Saturday, June 18, 2016

শিরোনাম নেই




স্বঞ্চিত যাতনারা সব বারুদের উত্তাপ ছড়ায় হৃদাঙ্গনে
পুড়ে পুড়ে অঙ্গার হয় সব, বোধ- ভাবনা আর স্বপ্ন।
শহুরে স্বার্থপরতার অলিতে গলিতে বাঁক খায় তারা
যেন মৃত কবির শব্দের গোঙ্গানি ধ্বনিত হয় চারপাশে,
তবু নির্লিপ্ত, নিশ্চুপ সবাই- ভ্রমের কুয়াশায়।
তৃপ্ত বিকেলের উদাস সঙ্গমকেও একঘেয়ে লাগে।
স্বপ্নগুলো কবিতার অক্ষরে অক্ষরে জীবন্ত থাকতে চায়
অথচ মৃত কবির শব্দরা থেমে গেলে স্বপ্নরাও নিষ্প্রাণ।
বিচ্ছিন্ন আঁধারে বিলীন হয় রৌদ্রে পোড়া শিশিরের মত।  
ক্লান্তির ঠোঁটে লালা ছড়িয়ে উষ্ণ চুম্বনে থাকে শোক,
পোড়া সিগারেটের মত থেবড়ানো স্বপ্নরা গড়াগড়ি করে
বোধহীন শহুরে গতিময়তায়, নিষ্প্রাণ রাত্রির গহীনে।
যাতনারা ভিড় জমায় হেলায়, সমান্তরাল রেললাইন ধরে
কিংবা প্রতিবাদের মৌন মিছিলে, ঝড়ে যাওয়া ফুলের
রক্ত আল্পনায়, নয়তো দেয়ালে ঝুলানো নির্বাক আদর্শে।
লৌকিক সময়ের কাছে নতজানু হয় স্বপ্নরা।