প্রতিবার যখন তার
মুখটি দেখি, নিমেষেই-
সব শোক উবে যায়,
নিভে যায় ক্লান্তি,
শত না পাওয়ার যাতনা।
তারে তো পেয়েছি
ভালবাসার উপহার সে,
অমলিন অম্লান।
শত বিরক্তি নিয়ে সেই
তাকালেও
ও চাহনির তীক্ষ্ণতায়
বার বার খুঁজে
ফিরেছি ভালবাসার
দংশন,
ভালবেসেছি তাকে, ঠিক
যেমন ভালোবাসি
কবিতার অক্ষরগুলোকে,
যেমন করে
ভালোবাসি নিষ্পেষণের
বিপরীতে দ্রোহকে।
তারা, আমি তোমার কথা
বলছি,
হৃদপ্রকোষ্ঠে যার প্রেমময়
উপস্থিতি নখত্রের
চেয়েও বেশি উজ্জ্বল,
যেন চিত্তাকাশে ভালবাসারই
তারার মেলা। তোমার
অভিমান কিংবা
তিরস্কার সবই আমার
ভালবাসার অর্ঘ্য তারা।
তারা, প্রত্যূষ থেকে
প্রদোষ তোমার প্রতীক্ষায়
মনে পড়ে তারা, সেই
দুপুরের রৌদ্রে হলুদ
ক্যাম্পাস, তোমার
হাতে আমার হাতের সলজ্জ স্পর্শ
আর কণ্ঠে মাদকতা
নিয়ে কিছু প্রেমের কবিতা।
দুপুর রাত টিউশন,
প্রতীক্ষিত তুমি,
মান ভাঙ্গানোর
চেষ্টায় শশব্যস্ত উদ্ভ্রান্ত আমি।
অতঃপর রিকশায় চড়ে
পরন্ত গোধূলির
মৃদু আবেশ গায়ে
মাখা। তারা, পরিপূর্ণ হই
আজো জড়িয়ে তোমার
ভালবাসার অবগুণ্ঠন।
তৃপ্ত মোহিত হই ভালোবাসার
উষ্ণ অনুরাগে।
অনুরাগ আর
অনুপ্রেরণার আধার হয়ে
ভালোবাসার প্রতিটি
সুর লহরে,
প্রতিটি প্রেমের
কবিতার অক্ষরে অক্ষরে
তোমার অমলিন নাম,
তারা-
হে প্রেয়সী আমার,
জড়িয়ে আছো অমলিন
নিত্য সুখে দুখে,
মানে অভিমানে
প্রত্যহের
খুনসুটিতে, অসীম মায়ায়
ভালোবাসার নিবিড়
ছায়ায় আজ
সুখনীড়ে। সেদিনের
সেই ক্যাম্পাসের
মতো আজো প্রতিদিন
তোমায় নিয়ে
রচিত হয় প্রেমের
হাজারো কাব্য
গাঢ় চুমুর উষ্ণতায়।
ভালোবাসার
অথৈ জলে খুঁজে পাই
সমুদ্রের গভীরতা
নিয়ত অবগাহন সুখে
নিমজ্জিত হই
ভালবাসায়, তারা-
হে প্রেয়সী আমার।