কালচে রক্তের ছোপ ছোপ আল্পনা বুকে রাঙ্গিয়ে
সময় আজো মৃত্যু ফেরি করে ফেরে রাজপথে রাজপথে।
হরহামেশাই ঘোরাঘুরি করে খুনি, থলেতে বাড়ায় মৃত্যুর
সাংখ্যিক মান, এক, দুই, তিন তারপর আরও।
এখানে বসন্তের নব প্রভাতে উদ্ভাসিত হতে নেই
সবুজ নির্মল আভায়, বুলেটের ভয়ে নিষ্প্রাণ হওয়া শ্রেয়।
জ্যোৎস্না মানে স্বপ্নের স্ফীতি নয়, ফিকে হওয়া অন্ধকার।
তাই রাত্রির বুকেই মাথা গুঁজে লুকিয়ে থাক বিষাদ
মৃত্যুর স্তুপে স্তুপায়িত মৃত পরে থাক বোধ আর বিবেক।
কুড়বে নাকি? কুড়িয়ে রাখো মৃত বোধ, মমি করে পরে
জাদুঘরে শোভা পাবে সে, একদা মানুষের বোধ ছিল।
একদা মানুষ মুক্ত ভাবে বলার সাহস করেছিল সেই
বোধের তাড়নায়। অতঃপর সংস্কারের লৌহশেকলে
আবদ্ধ হয়ে আতঙ্কের প্রহর গোনা কে হচ্ছে এরপর
রাজিব, অভিজিৎ অথবা ওয়াশিকুর, সবুজ প্রাণকে
ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত করে নিথর ফেলে
রাখা হয় নিঃশব্দ নিস্তব্ধ মর্গে, ব্যবচ্ছেদের প্রতীক্ষায়।
বাড়তে থাকে মৃত্যুর মিছিল, হাসতে থাকে অসভ্যতা।