কবেকার কোন প্রভাতের শারদীয় উদ্ভাসে
শিশির ছোঁয়া আদ্র গোলাপ পাপড়ি,
নগ্ন পায়ের চপল ছন্দে অনুভূতি ছড়িয়ে যায়
কাব্যে কাব্যে, প্রভাতীর স্বপ্নীল আলোয় আঁকা
ভালোবাসার ক্যানভাস, সেই সুস্মিতার হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া হাসি
কড়া নাড়ে চিত্তে কাব্য হয়ে।
অসংখ্য কবিতা,
মনে হয় পৃথিবীর সব ফুলের পাপড়িতে
গেঁথে থাকুক সেই সুস্মিতার হাসি,শারদীয় প্রভাতের রৌদ্রজুড়ে
তার স্পন্দিত উল্লাস জন্ম দিতো সুর, উষ্ণ ঠোঁটের তীব্র যাতনায়
কবি হয়ে যেত বিপ্লবী ,প্রেম আর দ্রোহের ছন্দে।
আজ কোন এক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রেস্তোরাঁয়
শারদীয় সতেজতা নেই,আছে নিয়ন আলোর আবছা মৌনতা
ব্যস্ত সময়ের অশান্ততায় অবসন্ন মন আজ কবিতা গড়ে না,
আঁকে না কোন সুস্মিতার উন্মুক্ত বক্ষের স্বপ্নাতুর অনুভূতি,
ঘড়ির কাঁটা ঘুরছে ঘুরছে।
পাশের টেবিলে চেনা মুখ, চেনা হাসি, শুধু
অপরিচিত সময়।
উঠে যাওয়ার আগে একটা সম্বধন কানে আসলো-
ধন্যবাদ মিসেস দে, মৃদু হাসলাম।
এগিয়ে চললাম একা। হয়তো একটা হাত সামনে এসেও
আওভান না করে গুঁটিয়ে গেলো,
মিসেস দে বর্তমান হয়ে থাক পৃথিবীর কাছে,
সুস্মিতার স্মৃতি চির অম্লান থাক-
পান্দুলিপির কাব্যে কাব্যে, ডায়েরির প্রতিটি অক্ষরে।
সময়ের ব্যবধান-
হাহাহা মিসেস দে।