একদিন যে দৃষ্টি -
অন্ধকারের লকলকে জিহব্বা তে
লাল আগুন তুলে জন্ম দিত অরুনদ্যুতি.
সেই দৃষ্টিতে আজ
সমাজ লৌকিকতার অমোঘ জড়তা.
একদিন যে কন্ঠ-
হাজার স্বপ্নবিমুখ সত্তাকে
শুনিয়ে যেত নচিকেতা হওয়ার স্বপ্নগান
যে গান গেয়ে যেত তারুণ্য স্তুতি
সে কন্ঠ আজ
বিমর্ষতার বিলাপে ভারাক্লান্ত, বহুজাতিক আওভানে ব্যাস্ত..
একদিন যে কলম ডায়রির বুকে ঝড় তুলে যেত
যুবতীর কামনা লালিত সজ্জায়
যেমন উন্মত্ত যৌনতার ঢেউ তলে
কোনো প্রনয়কলাবিশারদ
কলমের উষ্ণ ছোঁয়ায় শূন্য ডায়রির বুকে জন্ম নিত
একটি মহাজাগতিক স্বপ্ন
সেই কলম আজ
সুনিশ্চিত আগামীর সাচ্ছন্দ স্বার্থপরতায়
অবসর খোঁজে একাকী কোনো কলমদানিতে .
ডায়রিটি পরে থাকে বুকসেল্ফের অধরা অন্তপুরে-
সঙ্গী করে নেই বিরুদ্ধ সময়গ্রন্থির
তুলে দিয়া উপহার-কিছু মাকড়সার ঝুল.
একদিন যে হস্তযুগল
অধিকারের প্লাকার্ড উচ্চে তুলত
সংস্কৃতির স্নিগ্ধ হাসি জেগে উঠত
যে হাতর উষ্ণ স্পর্শে.
কোনো রমনীয় বক্ষে গড়ে তুলত
বর্ণিল শত স্বপ্ন-ভালবাসার প্রেরণা
সে হাত আজ নাগরিক অবসাদে
হাই তুলে যাব ক্লান্ত মুখের সামনে স্থির.
একদিন যে ভাষা গর্জে উঠত বঞ্চিতের হয়ে
যে ভাষায় প্রাণ পেত নজরুলের সৃষ্টি সুখের উল্লাস
আর রবির সেই নির্ঝরিণীর সুর
যে ভাষা তরুণ প্রাণে ধরা দিত
উদ্দীপ্ত আলোর আবাহনী হয়ে.
গড়ে তুলত সমতার সঙ্গীত.সেই ভাষা আজ
মুঠোফোনে কপট ধ্বনিতে স্বার্থ অন্বেষণে ব্যস্ত.
চেতনা আর মূল্যবোধ
বামে নয়, বামেতর পথে প্রবল যাত্রায়
কপট সুখ ঐশ্বর্য লোভে মত্ত কোনো স্বার্থপরের মাঝে বিলীন..