Sunday, September 28, 2014

বাড়ছে এ প্লাস



বাড়ছে এ প্লাস বাড়ছে যে পাশ
মানের আজ কি দরকার।
অধিক পাশই প্রকৃত মান
এই ব্রততে সরকার।

সৃজনশীল এ শিক্ষালয়ে
সনদটিই যে মুখ্য
জ্ঞানের আজ কি দরকার
থাকনা জাতি মূর্খ।

প্রশ্নফাঁস হোক তাতে কি
এ প্লাস তো বাড়ছেই
অধিক পাশের দেশ মোরা আজ
জাতি নাম কামাচ্ছেই।

ভর্তিযুদ্ধে নাই কভু মান
ফেলটা যে ভুরি ভুরি
“ভর্তি পরীক্ষায় আছে যে ত্রুটি”
মন্ত্রীর সুড়সুড়ি।

বিদ্যাশূন্য এ প্লাস আজ
বাড়ছে কি মান শিক্ষার!
পাশে ভরপুর শিক্ষিত জাতির
আগামীটা পাবে ধিক্কার।

Monday, September 22, 2014

তুমি আছো তাই



তুমি আছো  তাই শ্রাবণ আকাশ ভরে গেলো রোদ্দুরে
তুমি আছো  তাই শত শত গান ডায়েরীর পাতা জুড়ে।
তুমি আছো  তাই ধর্ম মন্ত্রী প্রেমের কবিতা পড়ে
তুমি আছো  তাই  পাড়ার নেতারা রাজপথ ছেড়ে ঘরে।

তুমি আছো  তাই স্নিগ্ধ শীতল অঙ্গার দহনে
তুমি আছো  তাই বিরাট কেহেলি মাঠ ছেড়ে প্যাভিলনে।  
তুমি আছো  তাই বর্ণমালা নিমেষে প্রেমের কাব্য  
তুমি আছো  তাই সন্যাসি ভাবে এবার যে ঘর বাঁধবো।

তুমি আছো  তাই আমার কবিতায় আজো বিপ্লবী ছন্দ
তুমি আছো  তাই মোল্লা-বামুন ভুলে যায় সব দ্বন্দ্ব।
তুমি আছো  তাই বসন্তরা আজো নতুনের সুর তোলে
তুমি আছো  তাই এখানেই থামি আবার লিখবো বলে।

Wednesday, September 17, 2014

অভিমানের গান

গাইবো না আর শব্দখেলায়
ছন্দ তানে গান
কণ্ঠ খেয়ায় জন্ম নিল 
নিদারুণ অভিমান।

শত বাঙ্গালীর রক্ত শোকে
নির্মিত এই দেশ-
ঘৃণিত যুদ্ধাপরাধী দ্বারা 
ক্ষয়িষ্ণু, নিঃশেষ।

অসার হলো দেশত্ববোধ 
শত শহীদের বলিদান,
চেতনার বুকে পদাঘাত করে
কলুষিতদের জয়গান।

মুক্তির তেজদীপ্ত সূর্য 
নিভু নিভু যায় অস্তে,
স্বাধীনতার মানহানি হলো
স্বার্থের কালো হস্তে।

লিখবনা আর কোনো কবিতা 
মুক্তির সুর তুলে।
আগামী হবে পথভ্রষ্ট 
ইতিহাস সব ভুলে।



Tuesday, September 9, 2014

নারী-৩

অতঃপর তুমি আবারো সঙ্কিত চাহনিতে গালে আঁকা শাদা অশ্রুরেখার সরু চিহ্ন নিয়ে প্রবহমান-  
সময়ের বিপরীতে বারংবার।সব লগ্নেই যেন তুমি লগ্নভ্রষ্টা, স্বার্থের তীক্ষ্ণ নখের আঁচড়ে ক্ষতবিক্ষত
হও প্রতিনিয়ত, অসহায় চিত্তে সয়ে যাও নিয়মের শৃঙ্খলিত লাঞ্ছনা। খোলা চুলের স্বাধীনতা কেবল  
পুরুষনির্ভর, সূর্যতো সবার জন্যই শাশ্বত। তবু তাকে তোমা হতে কেড়ে নেয়া হয়,
নিয়মের হিংস্র দাসত্বে হয়ে যাও তুমি অসূর্যস্পর্শা। অথচ পার্বতী হতে পাঞ্চালী , ইভ হতে
মাতা মেরী  সর্বত্রই তোমার কীর্তি গাঁথা। কখনোবা অসুরের দমন, কখনো খ্রিষ্টের গর্বিত জননী
নাইটেঙ্গেল হয়ে বাঁচিয়ে তুলেছ শতশত অর্ধমৃত প্রাণ, শক্তি যুগিয়েছ  নতুন করে বাঁচার,
হাজারো কবিতার অলঙ্কার তুমি কখনোবা পূজারিণী , কখনো হয়তো পাখির নীড়ের মতো
চোখ তুলে সাক্ষা বনলতা সেন। তুমি ছিলে তাই কবিতায় বয়ে গেলো নিরবধি স্রোতস্বিনী
দম্ভিত ঊর্মিতালে । নির্ঝরিণী সুর তোলে জল তরঙ্গের। অথচ সেই অপরূপ আভা ইতিহাস
কিংবা পাণ্ডুলিপিকে ছাপিয়ে বর্তমানকে জীবন্ত করতে পারেনি। এখনো নিশীথে তোমায় ভীত করে
ধর্ষকামীর কলুষিত হাত। অনিচ্ছায় লজ্জিত হয়ে পরিচিত হতে হয় অবরোধবাসিনী রূপে
প্রথার নির্লজ্জ গ্রাসে। ছন্দময় কবিতায় নিমেষে সুরের বিচ্যুতি। ধর্ম মুহূর্তে রূপ বদলে
পরিচালিত হয় ক্ষমতাবানদের স্বেচ্ছাচারিতায়। তোমায় বেঁধে ফেলে গৃহকোণে। স্বপ্নাকাশে
পরাধীনতার শেকল তখন ছড়িয়ে ছিটিয়ে রূপ নেয় দুঃস্বপ্নের কালো মেঘে। প্রানবন্ত তোমাকে
সমাজের লালসায় হতে হয় কামিত মাংসপিণ্ড। বাকময় দেহে শৈল্পিক স্তন আর নিতম্ব যেন
কলুষিত কিছু পুরুষের কুসিত কামনার উর্বরতা । তুমি আর কাব্যময় নিসর্গ নও,
যৌনতার মোহময় উপঢৌকন মাত্র।নিঃশব্দে প্রতিবাদহীন ধর্ষিত হও হিংস্র অসুরের হাতে
সমাজের কুণ্ঠিত স্বার্থপরতায়। রক্তক্ত দেহে ক্ষতের সাথে বয়ে বেড়াও ধর্মবাজের নিক্ষিপ্ত লজ্জা।

Monday, September 8, 2014

অন্তিম প্রাপ্তি

তেমনি তাহারে চেয়েছিনু
যেমনি তোমারে পাবার আকাঙ্ক্ষা
তাহারে পাইলাম

সমাধি মম সিক্ত নারী তব অশ্রুজ্বলে
স্পর্শ নয়, প্রেম নয়, করুনা নয়,
এমনকি বৃথা সান্ত্বনাও নয়।
না নারীসুলভ ছলনাও নয়।
পাইলাম তব অশ্রুভেজা পুষ্পমাল্য।

যখন হৃদয়ে স্পন্দন ছিল,
যাতনা ছিল, ছিল প্রগার অভিমান
মেলেনিকো কভু ক্ষণিক ভ্রান্তিতে
তব অস্ফুট আওভান।
অতঃপর প্রানহীন- কায়াহীন সত্তায়
অন্তিম অনুভবে পাইলাম
তোমার কায়াময় উপস্থিতি আর
ক্রন্দন হাহাকার।